বর্তমানে স্কিন এলার্জি মানুষের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা শতকরা প্রায় 30% মানুষের স্কিন এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে। আর বর্তমানে স্কিন এলার্জি প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেক মানুষ এর সমস্যায় ভুগছে। একেকজনের একেকরকম স্কিন এলার্জি হয়ে থাকে।
আজকে আমি আপনাদের স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে আ রড শ্রীপুরলোচনা করব। যেহেতু স্কিন এলার্জির বহুল প্রচলিত একটি সমস্যা। তাই আমরা স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় আজকে জানবো। স্কিন এলার্জির জন্য বেশিরভাগ মানুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।
ডাক্তার তখন তাকে নানা ধরনের ঔষধ সেবন করতে বলে। আজকের এই পোস্টে আমি স্কিন এলার্জির ঔষধ নিয়েও আলোচনা করব। সাধারণত ধুলাবালি থেকে এবং দূষিত পানি থেকে স্কিন এলার্জি বেশি হয়ে থাকে। চলুন এবার জেনে নেই স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় ও এর ঔষধ সম্পর্কে।
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির জন্য একেক জন একেক ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। তবে স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির জন্য সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হচ্ছে সর্বপ্রথম ধুলোবালি থেকে দূরে থাকা। তাছাড়া যে সকল খাবার খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হয় সে সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে আপনার অ্যালার্জি জনিত সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
তবে স্কিন এলার্জির জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে দেয় নিমপাতা। নিমপাতার রস করে স্কিনে লাগালে স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও স্কিন এলার্জির মহা ঔষধ হলো সিম পাতা। কিছু কিছু স্কিন এলার্জি আছে দাদ এর মত। দাদ রোগ হলে যেমন থাকার মত হয় ঠিক তেমনি কিছু কিছু স্কিন এলার্জি চাকার মতো রূপ ধারণ করে।
এরপর সে এলার্জির সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে পাঁচড়া রোগের মত। এই ধরনের স্কিন এলার্জির জন্য সিম পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি সিম পাতার রস করে সে জায়গায় লাগান তাহলে দেখবেন 20 থেকে 30 দিনের মধ্যে আপনি সুস্থহয়ে গেছেন। এর জন্য আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে না।
স্কিন এলার্জি ঔষধ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ এ অসংখ্য স্কিন এলার্জির ঔষধ রয়েছে। তার মধ্যে কিছু কিছু ঔষধ রয়েছে যেগুলো স্কিন এলার্জির জন্য সেরা। আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্কিন এলার্জির ঔষধ যেগুলো বাংলাদেশ খুব কার্যকর। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক ইসকন এলার্জির সেই সকল ওষুধ গুলোর নাম।
অ্যালার্জি হয়ে গেলে তা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড মলম, ক্যালামিন লোশন, টারবিন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি টারবিন ঔষধ ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার শরীরে দিনে দুবার ব্যবহার করতে হবে। এটা অত্যন্ত কার্যকরী।
স্কিন এলার্জি ঔষধ
স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তির জন্য নিচে আমি বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত কিছু ওষুধের নাম দিয়ে দিলাম। নিচে থেকে ওষুধের নাম গুলো দেখে নিন।
- Antioxidant
- Vitamin A & Zinc
- Dilosyn
- Rupadin
- Carotenoid
স্কিন এলার্জি ক্রিমের নাম
স্কিন এলার্জি এর ঔষধের নাম এখন আমি তুলে ধরবো। স্কিন সমস্যার জন্য অনেক ডাক্তার নানা ধরনের ক্রিম এর ব্যবহার দিয়ে থাকে। এসকল ক্রিম ব্যবহার করে অনেক স্কিন এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই সকল ক্রিমের মধ্যে অন্যতম টারবিন। এছাড়াও ডাক্তাররা এন্টিহিস্টামিন স্টেরয়েড মলম ও ক্যালামিন লোশন জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করতে বলেন। এসকল ক্রিম স্কিন এলার্জির জন্য খুবই উপাদেয়।
স্কিন এলার্জি হোমিও ঔষধ
আর্টিকা ইউরেন্স : যে সকল প্রাণীর খোলস আছে সেসকল প্রাণীর মাংস যেমন – চিংড়ি, কাঁকড়া, ঝিনুক-শামুক ইত্যাদি খেয়ে সৃষ্ট এলার্জি, শরীর চুলকালে ফুলে যায় এরূপ লক্ষনে – আর্টিকা ইউরেন্স একটি চমৎকার ও কার্যকরি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ।
জাস্টিসিয়া অটোটেডা : ধুলো থেকে এলার্জি (ডাস্ট এলার্জি), গরম অথবা ঝাল কিছু খেলে নাক দিয়ে পানি পড়ে এরূপ এলার্জিতে জাস্টিসিয়া কার্ষকরি ঔষধ।
হেপার সালফার (হেপ): এই ঔষধ ত্বকের ভাঁজে এবং জয়েন্টগুলোতে আর্দ্র ব্রণ বা ফুসকুড়ি চিকিৎসার জন্য সহায়ক। এইসব ক্ষেত্রে ত্বক সাপুরেশনপ্রবণ (পুঁজ গঠন প্রক্রিয়া) হয়ে পড়ে এবং খুব সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এটি একজামেটাস স্কাল্প এবং যে সব ক্ষেত্রে যেখানে চামড়া খুব সংবেদনশীল হয়ে ওঠে সেখানে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে ফোঁড়ার দ্বারা আক্রান্ত যৌনাঙ্গও হেপার সালফার থেকে উপকৃত হতে পারে।
ক্যালডিয়াম: এটি হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ফুসকুড়ি হাঁপানি আক্রমণের সাথে পরিবর্তিত হয়।