অনেকেই আছে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশ থাকার কারণে ভোটার হতে পারেন নাই। ভোটার না হওয়ার কারণে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। আমাদের দেশে বিদেশে থাকার কারণে ভোটার হতে পারে নাই এমন লোকের সংখ্যা অসংখ্য রয়েছে। জাতীয় পরিচয় পত্র তাদের না থাকার কারণে তারা বিভিন্ন সুবিধা বঞ্চিত হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে ভোটার হওয়ার সুযোগ চলে গেছে। আজকের এই পোস্টে আমরা জানাবো কিভাবে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়া যায়।
বর্তমান যুগ অনলাইনের যুগ। বর্তমানে প্রায় সবকিছুই অনলাইনে হয়ে থাকে। যার ফলে আপনি চাইলে বিদেশ থেকেও আপনি ভোটার হতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে আমি জানাব কিভাবে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়া যায়, সেই সাথে ভোটার হতে কি কি কাগজ পত্রের প্রয়োজন পড়ে। আপনি যদি বিদেশে থাকেন এবং আপনি জানতে চান কিভাবে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়া যায় তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি ভাল করে পড়ুন।
বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার নিয়ম
বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে যে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে তা আমি নিচে তুলে ধরেছি। ভোটার হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি সহ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আপনার প্রয়োজন পড়বে সনদ পত্রের ফটোকপি অথবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর অনুমতি। আপনার আরও প্রয়োজন পড়বে আপনার রক্তের আত্মীয় এর ভোটার আইডি এর ফটোকপি ও তার পরিচয় পত্র। আরো বিস্তারিত জানতে নিচের অংশ পড়ুন।
বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে
আপনারা যারা পূর্বে বিবেক দিয়েছেন তারা ভোটার হতে পারেননি। তবে বর্তমানে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ যাচ্ছে। আপনারা চাইলে অনলাইনে ভোটার হতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। ডকুমেন্টগুলো পরিপূর্ণভাবে দিতে পারে আপনি ভোটার হতে পারবে। বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার জন্য আপনার যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিচের অংশ থেকে দেখে নিন।
> প্রথমত আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি অথবা বিদেশি পাসপোর্টধারী দ্বৈত নাগরিকত্ব। এবং সনদ পত্রের ফটোকপি কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অনুমতি পত্র লাগবে।
> আপনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকের পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
> বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্ক আত্মীয় নাম অথবা মোবাইল নম্বর এবং আত্মীয়দের এনআইডি নাম্বার সহ অঙ্গীকারনামা।
> আপনি বাংলাদেশে থাকতে কোথাও ভোটার হননি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যায়ন পত্র।
বিদেশ থেকে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার নিয়ম
বর্তমানে অনলাইনে বিদেশ থেকে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আপনি চাইলে এখন বিদেশ থেকে অনলাইনে ভোটার হতে পারবেন। বিদেশ থেকে অনলাইনে ভোটার হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর আপনার কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হবে। সেই সকল তথ্য পূরণ করার পর আপনি বিদেশ থেকে ভোটার হতে পারবেন। চলুন এবার অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করার নিয়ম জেনে নেই।
> প্রথমেই আপনাকে NID এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।NID ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করুন।
> আবেদন করার সাথে সাথে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে আপনি যে দেশে বসবাস করছেন সে দেশ উল্লেখ করবেন।
> এরপর আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের এনআইডি হেল্পডেস্ক জমা দিতে হবে।
জমা দেওয়ার পর আপনার আবেদনটি সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলায় পাঠানো হবে। এরপর আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রমাণিত হলে এনআইডি টিম দূতাবাসের মাধ্যমে আপনার বায়োমেট্রিক্স তথ্য গ্রহণ করবে। এরপর দূতাবাস হেল্পডেক্স থেকে এনআইডি বিতরণ করা হবে। হেল্পডেক্স থেকে কবে আপনার এনআইডি কার্ড বিতরণ করা হবে তা না জানলে আপনি হেল্পডেক্স এর সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রবাসীরা ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে পাবেন
সর্বপ্রথম মালয়েশিয়ার প্রবাসীরা ভোটার আইডি কার্ড করার সুযোগ সুবিধা পেয়েছিল। তবে বর্তমানে প্রায় সকল প্রবাসীরাই অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার আবেদনকৃত ভোটার আইডি কার্ড পেতে আপনি যে দেশে আছেন সেই দেশের বাংলাদেশি দূতাবাসে যোগাযোগ করুন সেখান থেকে আপনার এনআইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে দেবে।
শেষ কথা
প্রিয় প্রবাসী ভাইয়েরা আপনারা যারা ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। কেননা আজকের এই পোস্টে আমি জানিয়ে দিয়েছি কিভাবে আপনি আপনার প্রয়োজনের ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করতে পারবেন। আপনি চাইলে উপরের উল্লেখিত উপায়ে আপনি আপনার প্রয়োজনে ভোটার কার্ড পেতে পারেন। প্রিয় প্রবাসী ভায়েরা আমাদের আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Read More