এশিয়া মহাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে ইউরোপ কান্ট্রি হচ্ছে স্বপ্নের দেশের নাম। সত্যি বলতে কি ইউরোপের কান্ট্রি গুলো এক কথায় অসাধারণ। এশিয়া মহাদেশের প্রায় মানুষের স্বপ্ন থাকে ইউরোপের দেশে যাওয়া। কেননা তারা মনে করে ইউরোপের দেশে গেলে ভালো একটা বেতনে কাজ করতে পারবে। তাছাড়া সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারবে। তাই সে দেশের বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে ইউরোপে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে। ইউরোপে যাওয়ার পূর্বে জেনে রাখা ভালো ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।
আপনার যদি জানা থাকে ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে তাহলে আপনি পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন। তাই আজকের এই পোষ্ট টি তে আমি জানাবো ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে। ইউরোপের দেশ বলতে আমরা বুঝি আমেরিকা, ইতালি, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, পর্তুগাল, জার্মানি সহ আরো অনেক দেশ। আজকের এই পোস্টে আমি এই সকল দেশে যেতে কত টাকা লাগে এবং ভিসা খরচ কত সম্পূর্ণ বিস্তারিত তুলে ধরবো। তাই যারা ইউরোপ কান্ট্রি তে যেতে ইচ্ছুক সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমান বিশ্বে ইউরোপ কান্ট্রি তে যেতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। এর মূল কারণ এখানকার জীবন যাত্রার মান উন্নত। তাছাড়া এখানকার টাকার মান বেশি থাকায় যেতে খরচ বেশি হয়। তবে ইউরোপের দেশে যেতে খরচ বেশি হলেও সেখানে যদি আপনি চাকরি করেন বেতন পাবেন বেশি। যার ফলে আপনি অল্প দিনেই আপনার টাকা উঠাতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে বাংলাদেশ থেকে যেসকল ইউরোপ কান্ট্রি তে যাওয়া যায় তার খরচ কত পরে সম্পূর্ণ বিস্তারিত তুলে ধরব।
সেখানে আমি আমেরিকা, ইতালি, পোল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রোমানিয়া, পর্তুগাল, জার্মানি যেতে সব মিলিয়ে আপনার কি পরিমাণ খরচ হবে এবং আপনার বেতন কেমন পড়বে সব তুলে ধরব। তাছাড়া এই সকল দেশে কোন কাজের বেতন বেশি এবং কোন কাজে গেলে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন তারা তুলে ধরবো। তাই আরো জানতে নিচের অংশ ভালো করে দেখে নিন।
ইতালি যেতে কত টাকা লাগে
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৯ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে যদি আপনার কোন আত্মীয় ইতালি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার খরচের পরিমাণ কিছুটা কমতে পারে। আর আপনার আজকে ইতালি থাকলে ভিসা পেতে আপনার তেমন সমস্যা হবে না। তখন সে আপনার ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে, ভিসা প্রসেসিং সবকিছু সে নিজেই করে দিবে। আর যদি না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে দালালের শরণাপন্ন হতে হবে।
পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
পোল্যান্ড অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ। বর্তমানে পোল্যান্ড সরকার কাজের ভিসা চালু করেছে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিচ্ছে। তাই আপনি চাইলে কাজের ভিসায় পোল্যান্ড যেতে পারেন। আবার আপনি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে অথবা পড়াশোনার জন্য পোল্যান্ড যেতে পারবেন। আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৮ লক্ষ টাকার মতো। আর যদি আপনি বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে চার ৪ লক্ষ টাকার মতো।
রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে রোমানিয়া অন্যতম। আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ রোমানিয়া যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে। কেননা রোমানিয়া কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। রোমানিয়া কাজের বেতন ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আপনি যদি ড্রাইভিং ভিসা অথবা রেস্টুরেন্ট ভিসাতে রোমানিয়া যেতে চান তাহলে আপনার বেতন পড়বে প্রায় ১ লক্ষ টাকার মতো।
আর আপনার যদি ভালো কম্পিউটার জানা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন পড়বে ২ লক্ষ টাকার মতো। রোমানিয়া সবচেয়ে বেতন বেশি ইলেকট্রিক্যাল কাজে। আপনি যদি একজন ভাল মানের ইলেকট্রিশিয়ান হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ২ লক্ষ টাকার মতো বেতন পাবেন। আমাদের দেশে অনেক ইলেকট্রিশিয়ান রয়েছে। তারা চাইলে রোমানিয়া কাজের ভিসায় যেতে পারেন। রোমানিয়া যেতে সব মিলিয়ে আপনার খরচ পড়বে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা লাগে
অস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে আপনার ভিসা বের করতে খরচ পরবে ২৫০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। আর সব মিলিয়ে আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকার মতো। তবে মনে রাখবেন অস্ট্রেলিয়া কাজের ভিসা তে যাওয়া যায় না। এখানে আপনি বেড়ানোর ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা তে যেতে পারবেন। আর বেড়ানোর ভিসা ও স্টুডেন্ট ভিসা তে খরচ একটু কম হয়। যার কারণে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে ৫ লক্ষ টাকার মধ্যে আপনার হয়ে যাবে।
আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে
আমাদের দেশ থেকে আমেরিকা কাজের ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দেয় না। তাই কাজের ভিসা তে আমেরিকায় যেতে চাইলে আপনাকে অন্য কোন দেশ থেকে যেতে হবে। যেমন আপনি লিবিয়া থেকে যে কোন দেশে যেতে পারবেন। তাই প্রথমে আপনাকে লিভিয়া যেতে হবে তারপর সেখান থেকে আমেরিকা যেতে হবে। অথবা আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসা তে বা ভিজিট ভিসায় আমেরিকা যেতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা ভিজিট ভিসায় আমেরিকা যেতে খরচ হয় সব মিলিয়ে ৫ লক্ষ টাকার মতো। আর এর জন্য আপনাকে অবশ্যই যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। আপনি যদি আমেরিকান বেড়ানোর উদ্দেশ্যে যেতে চান সেক্ষেত্রে তারা আপনার পরীক্ষা নিয়ে নিবে। পরীক্ষায় যদি আপনি পাস করেন তাহলে আপনি আমেরিকা দিতে পারবেন।
জার্মানি যেতে কত টাকা লাগে
জার্মানি যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ থেকে যাওয়া। তাই আপনাকে প্রথমে মধ্যপ্রাচ্যের কোন একটি দেশে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে জার্মান এ যেতে হবে। এখানে আপনার খরচ পড়বে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকার মতো। বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়া যায় না। বাংলাদেশ জার্মানির কোন এমব্যাসি নেই। জার্মানি যেতে চাইলে আপনাকে ভিজিট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা তে যেতে হবে।
পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসায় পর্তুগাল শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি যদি দেখতে চান তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে পর্তুগাল যেতে পারবেন। পর্তুগাল যেতে আপনার খরচ পড়বে ৮ লক্ষ টাকার মতো। আপনি সরকারিভাবে অথবা বেসরকারিভাবে পর্তুগাল দিতে পারবেন। তবে যদি আপনি ভাল কোন দালালের শরণাপন্ন হতে পারেন সেক্ষেত্রে সে আপনার ভিসা প্রসেসিং করে দিতে পারবে।
ইংল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশের সিলেটের বেশিরভাগ মানুষ ইংল্যান্ডে বসবাস করে থাকে। ইংল্যান্ড যেতে চাইলে তাই আপনার পরিচিত লোকের প্রয়োজন হবে। ইংল্যান্ড বা লন্ডনে যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ভিসা পেতে কোন সমস্যা হবে না। তারা সেখান থেকে ভিসা আবেদন করে এবং ভিসা প্রসেসিং করে দিবে। আর আপনি তিন মাসের মধ্যে সেখানে যেতে পারবেন। তখন আপনার খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার মতো।
যদি আপনার পরিচিত কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিট ভিসা অথবা স্টুডেন্ট ভিসা তে ইংল্যান্ড যেতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে চার লক্ষ টাকার মতো। তাই ইংল্যান্ড যেতে চাইলে সিলেটের পরিচিত কোন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করুন। সে যদি আপনাকে নিতে চায় তাহলে তিন মাসের মধ্যে নিতে পারবে।
Read More
মালদ্বীপ কাজের ভিসা ২০২৩ – কোন কাজের চাহিদা বেশি
সৌদি আরব রেস্টুরেন্ট ভিসা ২০২৩ – সৌদি হোটেল ভিসা
মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা 2022 – ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন স্কেল
লন্ডনের ভিসার দাম কত – লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা