বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ মালয়েশিয়া কাজের ভিসা নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। কেননা মালয়েশিয়া কাজের ভিসার বেতন বেশি ও সুযোগ-সুবিধা বেশি। তবে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে কিছুটা ঝামেলা থাকার কারণে মালয়েশিয়া ভিসা খুলতেছে না। যার কারণে অসংখ্য বাঙালি কে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। নানা ধরনের কাজের বিষয় নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়।
তবে সব ধরনের কাজের ভিসা খুব একটা ভালো না। কিছু কিছু মালয়েশিয়া কাজের ভিসা রয়েছে যেগুলোর বেতন কম ও পরিশ্রম অনেক বেশি। আবার কিছু কিছু কাজের ভিসা রয়েছে যেগুলোর বেতন অনেক বেশি দিয়ে থাকে এবং সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি দিয়ে থাকে। সাধারণত মানুষ বেশি বেতন পাওয়ার জন্য বিদেশ যেতে চায় এবং সেই সাথে প্রয়োজন ভালো সুযোগ সুবিধা। চলুন এবার দেখে নেই মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো।
মালয়েশিয়া কোন ভিসা ভালো
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। যেমনঃ ভ্রমণ ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, গার্ডিয়ান ভিসা, কাজের ভিসা, বিজনেস ভিসা অন্যতম। তবে আমাদের দেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কাজের ভিসা নিয়ে ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যায়। মালয়েশিয়া পড়াশোনার মান অনেক উন্নত। আবার মালয়েশিয়া কাজের বেতন অনেক ভালো দিয়ে থাকে। আবার মালয়েশিয়া রয়েছে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা।
মালেশিয়া সবচেয়ে বেশি ভালো এম এম ২ এইচ ( এই ভিসা হল মালয়েশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো )। এই ভিসার মেয়াদ থাকে ১০ বছর। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এই ভিসার মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়ে দেয়া হয় কোন প্রকার টাকা পয়সা ছাড়া। তবে আমাদের দেশ থেকে যতগুলো প্রবাসী মালয়েশিয়া যায় তাদেরকে ভিসার মেয়াদ টাকা দিয়ে বাড়াতে হয়। তবে এম এম ২ এইচ এই ভিসার মেয়াদ এমনিতেই বেশি থাকে।
ভিসার মেয়াদ বেশি থাকার কারণে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আপনি ১০ বছর বা তার অধিক সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। এখানে আপনার ভিসা রিনিউ করার কোন প্রয়োজন পড়বে না। আপনার কোন এক্সট্রা টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই ভিসা রিনিউ করার জন্য। চলুন এবার মালয়েশিয়া আরো কিছু ভিসার নাম জেনে নেই।
মালয়েশিয়া কলিং ভিসা
মালয়েশিয়া বিভিন্ন ভিসার মধ্যে কলিং ভিসা অন্যতম। কলিং ভিসা নিয়ে অনেকে মালয়েশিয়া গিয়ে থাকে। কলিং ভিসার রয়েছে কিছু সুযোগ সুবিধা যা আপনি অন্য কোন কাজে পাবেন না। যার কারণে কলিং ভিসা নিয়ে মানুষ মালয়েশিয়া যাওয়ারজন্য বেশি আগ্রহী। মালয়েশিয়ার কলিং ভিসার রয়েছে ৫ বছরের মেয়াদ। তবে আপনি মেয়াদ শেষ হইলে আরো পাঁচ বছর বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
কলিং ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গেলে আপনার বেতন অনেক বেশি হবে সবসময়। শুধু বেতন বেশি তা না, আপনার থাকবে অফুরন্ত সুযোগ সুবিধা। এই ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গেলে আপনার ছুটির মেয়াদ থাকে অনেক বেশি দিন। ছুটির মেয়াদ থাকে আপনার অন্তত ছয় মাস। যার ফলে আপনি দেশে গিয়ে দীর্ঘদিন অবস্থান করতে পারবেন আপনার পরিবারের সাথে। যেটা আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা
আমাদের দেশ থেকে অনেকেই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে থাকে। কেননা মালয়েশিয়া পড়াশোনার মান অনেক ভালো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য মালয়েশিয়া যায়। মালয়েশিয়া রয়েছে পৃথিবীর মধ্যে বিশ্ব বিখ্যাত সব ইসলামিক ইউনিভার্সিটি। আমাদের দেশের বড় বড় ইসলামিক স্কলাস্টিক মালয়েশিয়া থেকে উচ্চ ডিগ্রি করে এসেছে ইসলাম শিক্ষার উপর।
তাই আপনি যদি মালয়েশিয়া গিয়ে ইসলাম বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করতে চান তাহলে যেতে পারেন। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন কারিগরি বিষয় নিয়ে সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। কেননা সারা বিশ্বে যেসব ইউনিভার্সিটি রাঙ্কিংয়ে রয়েছে তার মধ্যে মালয়েশিয়ার অনেক ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এ ইউনিভার্সিটি গুলো সারা বিশ্বে অনেক নাম কামিয়েছে।
মালয়েশিয়া কাজের ভিসা
আমাদের দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মালয়েশিয়া যায় কাজের ভিসা নিয়ে। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ হওয়ায় আমাদের দেশের বেশিরভাগ যুবক কাজের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যায়। কেননা বাংলাদেশ কাজের তেমন পরিবেশ নেই। এখানে দুর্নীতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি এবং বেতনের পরিমাণ সবচেয়ে কম। নেই কোন সুযোগ সুবিধা। যার কারণে তারা কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়ে থাকে।
কেননা মালয়েশিয়া কাজের ভিসার বেতন ভালো দিয়ে থাকে। সেখানে গিয়ে বাঙালিরা কাজের পাশাপাশি ওভারটাইম করার সুযোগ সুবিধা পায়। তাছাড়া এখানে বেতনের পরিমাণ অনেক ভালো দিয়ে থাকে। সব দিক বিবেচনা করে আমাদের দেশের বেকার ছেলেরা কাজের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যায় তাদের পারিবারিক অবস্থা পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে। কেননা অর্থ হলো পরিবারের মূল কেন্দ্রবিন্দু।