ছেলে মানুষ কখনো কান্নাকাটি করে না। যখন দেখবেন কোন ছেলে কান্না করতেছে তখন বুঝবেন তার ওপর পাহাড় সমান কষ্ট চেপে বসেছে। ছেলেরা কখনো নিজের কষ্টকে অন্যের সামনে তুলে ধরেনা। তারা সব সময় নিজের কষ্ট কে লুকিয়ে রেখে কাজ করে। আজকের এই পোস্টে আমি ছেলেদের কষ্টের কিছু স্ট্যাটাস তুলে ধরেছি। এখানে আপনি আরো পাবেন ছেলেদের দেয়া অসাধারণ কিছু মনের কথা। চলুন নিচে থেকে দেখে নেয়া যাক।
ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
১. পৃথিবীর সকলের মানুষেরই বুকে অনেক জ্বালা যন্ত্রণা বা কষ্ট রয়েছে কিন্তু প্রকাশ করার ধরন ভিন্ন ভিন্ন।
২. আমিও তোমাকে ভুলে যেতে পারতাম কিন্তু কখনোই কল্পনা করিনি তোমাকে ভুলে যাবো।
৩. প্রিয় তোমার কাছ থেকে বিশ্বাস তো আমার অনেক আগেই হারিয়ে গেছে তোমার সেই মিথ্যে ভালোবাসার কাছে। এখন আমি অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছি এখন আর আমি পিছন দিকে ফিরিয়ে যেতে চাই না।
৪. কোন মানুষকে ছেড়ে থাকাটা বোধ হয় অনেক কষ্টের। কিন্তু তার থেকেও বেশি কষ্ট হল সে আর আসবেনা এটা ভেবে তার জন্য অপেক্ষা করা।
৫. ভালো থাকুক পৃথিবীর ওই সব মানুষগুলো যারা নিজের ভালোর জন্য অন্যের ভালো থাকা কেড়ে নিয়েছে।
৬. মেয়েরা সব সময়ই সত্যবাদী ছেলেদেরকে খুব পছন্দ করে, কিন্তু তারা আবার মিথ্যাবাদীকেই বিশ্বাস করে বসে।
৭. পৃথিবীর সকল ছেলেদের স্বপ্ন তারা একসাথে সবাইকে নিয়ে সুখে যেন সুখে জীবন যাপন করতে পারে।
৮. ছেলেদের মন খারাপ বা মুড অফের সময় অজানা কোন কারণ থাকে, কিন্তু মেয়েদের মন খারাপের ক্ষেত্রে তেমন কোন কিছু কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
৯. ছেলেদের চোখের জল কখনো খুজে পাওয়া যায় না কারণ তাদের সমস্ত জল পরিশ্রমের মাধ্যমে ঘাম বের হয়ে চলে যায়।
১০. ছেলেরা কখনোই নিজেরা নষ্ট হতে চায় না। তারা নষ্ট হয় একমাত্র সমাজের পরিস্থিতির কারণে বা সমাজের কিছু খারাপ মানুষের জন্য।
১১. বেশিরভাগ পুরুষই জানে না যে তারা তাদের স্ত্রীকে অকারণে রাগিয়ে দিচ্ছে।
১২. ছেলেদের বেশিরভাগ সময় কাটে তাদের পড়ালেখা আর বাকি জীবন গুলো কাটে পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে।
১৩. ছেলেরা পরিবারের জন্য সারা দিনরাত কষ্ট করে পরিশ্রম করে দায়িত্ব নিয়ে সবকিছু সুন্দর করে চালিয়ে যেতে পারে।
১৪.ছেলেদের চোখের জলে লুকিয়ে থাকে হাজারো দুঃখ কষ্ট কিন্তু তাদের সেই দুঃখ কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না। আর মেয়েদের চোখের জলে থাকে শুধু ছলনা।
১৫. বেশিরভাগ ছেলেই তার প্রিয়জনের কাছ থেকেই কষ্ট পেয়ে থাকে, কারণ তারা আপনজনের জন্যই বেশি পরিশ্রম করে কাজ করে থাকে।
১৬. ছেলেদের ছোট থেকেই তাদের পরিবারের দায়িত্ব গুলো নিজ কাঁধে নেওয়া উচিত। কারণ তারা বড় না হতেই তাদের কাঁদে দায়িত্বগুলি আবার চলে আসতে পারে।
১৭. ছেলেরা ইচ্ছা করে কখনো নষ্ট হয় না, তাদের নষ্ট করে তাদের সমাজ এবং তাদের পরিবার।
১৮. জীবনের যত দুঃখ কষ্ট গুলোর সাথে যুদ্ধ করে ছেলেরা সামনের দিকে এগিয়ে চলে। এবং তারা ক্লান্তিহীন জীবন পাড়ি দেয় একা একা।
১৯. ছেলেদের জীবনের সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস হল তার বন্ধু। বন্ধু ছাড়া একটা ছেলে কখনোই জীবনে বড় হতে পারে না।
২০. ছেলেরা বিয়ের আগে যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন এবং পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে থাকে। ঠিক বিয়ের পর ছেলেরা তার স্ত্রী সন্তান এর দায়িত্ব মাথায় নিয়ে চলে।
২১. একটা সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য ছেলেরা যত কষ্ট পরিশ্রম এবং ত্যাগ স্বীকার করে। একটা মেয়ে যদি এর সামান্য পরিমাণ ত্যাগ স্বীকার করত তাহলে তাদের সংসার অকালেই ভেঙে যেত।
২২. ছেলেরা সবসময় তার প্রিয়জনদেরকে কাছে নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। তারা একটা সময় তাদের ভাগ্যের কাছে হেরে যায় আর তখনই সবাই তাদেরকে ত্যাগ করে দেয়।
২৩. ছেলেরা জন্ম থেকে পরিবারের দায়িত্ব মাথায় নিয়ে বড় হতে থাকে। এবং সারা জীবনই তারা সেই দায়িত্ব মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
২৪. ছেলেদের কখনোই খুব সহজেই মন খারাপ হয় না। যদি দেখেন তাদের মন খারাপ তাহলে ঠিক বুঝে নিয়েন তাদের মনে কেউ একজন বড় আঘাত করেছে।
২৫. ছেলেদের কখনোই সাহায্যকারী হয় না, তারা নিজেরাই সবকিছু একাই সামলিয়ে নিতে পারে।
২৬. ছেলেদের জীবনে কোন দুঃখ কষ্ট থাকতে নেই, কারণ তারা পরিবারের চিন্তা করতে করতে তাদের জীবন শেষ হয়ে যায়। তারা তাদেরকে নিয়ে কোন ভাবার সময়ই পায় না।
২৭. ছেলেরা কখনোই নিজের জন্য চিন্তা করে না। তারা সবার জন্যই চিন্তা করে এবং কি সবাইকে ভালো রাখার জন্য তারা অনেক পরিশ্রম করে থাকে।
২৮. হাজার দুঃখ কষ্টের মাঝেও কিভাবে হাসতে হয় তা একমাত্র ছেলেরাই ভালো জানে।
২৯. যদি এমন একজন মানুষ আমার জীবনে পেতাম যে আমাকে মন থেকে ভালবাসবে এবং আমাকে ঘিরে তার সব ভালোবাসা থাকবে। তাহলে আমি এই পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও তাকে কোনদিনও হারিয়ে যেতে দিতাম না।
৩০. এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু মিথ্যে হলেও ছেলেদের কান্না কখনোই মিথ্যে হয় না। তারা কষ্ট না পেলে কখনোই কান্না করে না।
৩১. একটা সত্যিকারের ভালোবাসা অসহায় একটা জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে। কিন্তু একটা মিথ্যে ভালোবাসা একটা সুন্দর গোছানো জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে।
৩২. প্রিয় চাইলেই কি তোমাকে ভুলে থাকা যায়! তোমাকে ভুলার জন্য তো আর তোমাকে ভালোবাসিনি। আমার জীবন আছে যতদিন তোমাকে মনে রাখবো ঠিক ততদিন।
৩৩. তুমি তাকেই ভালোবাসো যে তোমার হাত ধরে সারা জীবন থাকতে চাই। এবং তাকে তুমি বিশ্বাস করো যে তোমার বিশ্বাসের মর্যাদা দেবে। তবে তার আগে তাকে পরীক্ষা করে দেখা উচিত সে আসলেই তোমার কিনা।
৩৪. কাউকে ভালোবাসা হয়তো অনেক সহজ কিন্তু কাউকে ভুলে থাকাটা অনেক কষ্টদায়ক এবং যন্ত্রণাদায়ক। ভালোবাসার মানুষটিকে চাইলেই ভুলে থাকা যায় না। ভালোবাসাটা যত সহজ মনে কর ভুলে থাকাটা তার চেয়েও অধিক কঠিন। চাইলেই ভুলে থাকাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
৩৫. প্রিয় একটু ভালোবাসা দিবা, যে ভালোবাসায় কোনো জ্বালা-যন্ত্রণা, দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। থাকবে না কোন মায়া কান্না। আমি সেই অনুভূতিকে সঙ্গী করে সারা জীবন তোমার সাথে কাটিয়ে দিতে চাই।
৩৬. প্রিয় একদিন ঠিকই বুঝতে পারবে আমি তোমাকে কতটা ভালোবেসেছি। হয়তো তুমি সেদিন আমাকে নিয়ে অনেক আফসোস করবে। কিন্তু তখন আমাকে আর কোনদিনও ফিরে পাবে না।
৩৭. কেন তুমি আমার জীবনে এসেছিলে যদি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা থাকতো তাহলে কেন আমাকে তোমার মিথ্যে মায়ায় জড়িয়ে দিলে। জানো, মানুষের মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা একই কথা।
৩৮. তোমাকে আজও ভুলতে পারতেছি না, কেন আমার জীবনে এসে আবার চলে গেলে। কি ভুল ছিল আমার ভালবাসায়!
৩৯. হায়রে নিষ্ঠুর মন তোমার, এ কেমন মানুষ তুমি! কিভাবে আমাকে ভুলে তুমি থাকতে পারো একটুও মনে পরে না আমার কথা।
৪০. এই পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলো তিনি যার মনে কোন অহংকার নেই, আছে সুন্দর একটা মন। নেই কোন হিংসা এবং অন্যের জন্য রয়েছে প্রচুর ভালোবাসা। তার মত পৃথিবীতে আর সুখী ব্যক্তি নেই।
৪১. ছেলেরা আর যাই করুক না কেন একটা জিনিস তারা কখনোই ভেবে দেখে না একটা সামান্য জিনিসের জন্য মেয়েদের পুরো জীবন নষ্ট বা ক্ষতি হয়ে যায়।
৪২. যদি আপনি কোন একটা কাজ করতে গিয়ে ভুল করেছেন তাহলে এটা ভাবা যায় আপনি ওই কাজটা অবশ্যই চেষ্টা করেছেন।
৪৩. আমার পিতা-মাতা আমার জন্য গর্বিত হওয়া উচিত কারণ আমি ফেসবুকে আসক্ত কিন্তু মাদকে আসক্ত নয়।
৪৪. আমাকে কেউ ভালোবাসলো কিনা ঘৃণা করলো তাতে আমার কোন যায় আসে না। কারো পরোয়া করার আমার সময় নাই।
৪৫. যদি আপনি আমাকে অপছন্দ করেন বা আমার আচার ব্যবহার যদি আপনার কাছে ভালো না মনে হয় তাহলে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এটাই যে সহজ।