দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৩ ও ভিসা আবেদনের নিয়ম

দুবাই মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি সুন্দরভাবে সাজানো একটি শহর। দুবাইকে ব্যবসার মূল কেন্দ্র বলা হয়। কেননা দুবাইয়ের মত ব্যবসার পরিবেশ অন্য কোন দেশে নেই। বিভিন্ন নান্দনিক দালানকোঠা, কৃত্রিম উপায়ে সাজানো অসাধারণ শহর মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে। এছাড়াও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে দুবাই অন্যতম। যার কারণে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টুরিস্ট দুবাই বেড়ানোর উদ্দেশ্যে আসে। আবার কেউ বা বিজনেস করার জন্য দুবাই যায়। টুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য দুইটি পদ্ধতি রয়েছে।

একটি হল ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা। অন্যটি বিমান বা এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করা। এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে আপনি যে এয়ারলাইন্সে করে দুবাই যাবেন সেই এয়ারলাইন্সে করে ফিরে আসতে হবে। আর ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে গেলে তাদের গাইডলাইন অনুসারে আপনাকে দুবাইয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হবে। এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে সবকিছু আপনার মোতাবেক চলবে।

দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন করার পূর্বে জেনে রাখা ভালো দুবাই ভিজিট ভিসা করতে কত টাকা খরচ হয়। আবার যদি আপনি বিজনেসের জন্য যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কত টাকা খরচ হবে। তাছাড়া ভিজিট ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন তা আমি আজকের এই পোস্টে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। চলুন এবার জেনে নেই দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ কত ও এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের নিয়ম

দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের জন্য আপনি দুইটি উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারেন অথবা ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারেন। এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে যে সকল এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে তা নিচে দেয়া হল।

১। ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।

২। এমিরাতস এয়ারলাইনস।

৩। ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স।

৪। এয়ার এরিয়া।

উপরে উল্লেখিত বিমান এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ করে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন। ভিসা আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে আপনার ভিসা এসে যাবে। যদি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন তারা নিজেরাই সবকিছু ঠিকঠাক করে দিবে। এছাড়াও আপনি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি ৩০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন।

দুবাই ভিজিট ভিসা খরচ ২০২৩

দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের জন্য খুব একটা খরচ হয় না। আপনি যদি একা দুবাই যেতে চান সেক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের জন্য আপনার খরচ পড়বে ৩৫০ দিরহাম।১ দিরহাম সমান ২৯.৬৭ টাকা। যা বাংলাদেশী টাকায় খরচ হবে ১০ হাজার ৩৮৫ টাকা। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দিরহামের মূল্য বৃদ্ধি পায় অথবা কমে যায়। যার কারণে ১০০ থেকে ২০০ টাকা কম বেশি হতে পারে। নিচে থেকে আরো বিস্তারিত জানুন।

সিঙ্গেল এন্ট্রি – একা ভ্রমণের জন্য গেলে আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৩৫০ দিরহাম। এই ভিসা খরচ হবে ৩০ দিনের জন্য। আর যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়াতে চান সেক্ষেত্রে ১০০০ দিরহাম। এখানে আপনি ৯০ দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং দিন থাকতে পারবেন।

মাল্টিপল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন। এই ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে ৬৫০ দিরহাম। যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ২৫০০ দিরহাম।

দুবাই টুরিস্ট ভিসা খরচ

এক ভিসা সংগঠন কর্তৃক জানা গেছে , যদি আপনি কোন দালাল দ্বারা ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পরবে বাংলাদেশি টাকায় ১৫ হাজার টাকা। আর যদি আপনি সেখানে কাজের উদ্দেশ্যে ভিজিট ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে তারা আপনাকে কাজের জন্য নিবে তারা কাজ দিয়ে দিবে। তবে আপনাকে পালিয়ে কাজ করতে হবে।

ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ভিসা সার্ভিস

সিঙ্গেল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন আর আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৩৫০ দিরহাম। আর যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করছি চান সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১০০০ দিরহাম।

মাল্টিপল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন। এই ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে ৬৫০ দিরহাম। যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ২৫০০ দিরহাম।

এমিরাতস এয়ারলাইনস ভিসা সার্ভিস

সিঙ্গেল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন আর আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৩৩০ দিরহাম। আর যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করছি চান সেক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৬৫০ দিরহাম।

মাল্টিপল এন্ট্রি – এই ভিসার মেয়াদ ৩০ দিন। এই ভিসার জন্য আপনার খরচ হবে ৮০০ দিরহাম। যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ১৭০০ দিরহাম।

ফ্লাই দুবাই ভিসা সার্ভিস

ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স থেকে ভিজিট ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স এ যোগাযোগ করতে হবে। যোগাযোগ করার পর তারা ৩০ দিনের মধ্যে আপনার ভিসা কনফার্ম করবে। এর জন্য আপনার খরচ পড়বে ১১০০০ টাকার মতো। তবে মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য আপনার খরচ আরো বেশি হবে। এছাড়াও যদি আপনি ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে ৯০ দিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ আরো বেশি পড়বে।

দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং

দুবাই ভিজিট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য আপনাকে ভিসা এজেন্ট এর সাথে আলাপ করতে হবে। অথবা আপনাকে এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে বা ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। যদি আপনি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যান তবে তারা আপনাকে যে সকল জায়গায় নিয়ে যাবে শুধু ঐ সকল জায়গায় আপনাকে দেখতে হবে। আর যদি আপনি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে চান সেক্ষেত্রে আপনার মনের ইচ্ছা মতন ঘুরতে পারবেন।

এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের নিয়ম

যে সকল এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে আপনি দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদন করবেন তা নিচে দেয়া হল। তবে মনে রাখবেন একেক এয়ারলাইন্সে ভিসা আবেদনের জন্য একেক রকম খরচ করে। এই খরচ ভিন্ন হওয়ার কারণ এয়ারলাইন্সের ধরণ ও সেবামান। চলুন এবার এয়ারলাইন্সের নাম জেনে নেই।

১। ইতিহাদ এয়ারওয়েজ।

২। এমিরাতস এয়ারলাইনস।

৩। ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্স।

৪। এয়ার এরিয়া।

দুবাই ভিজিট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

১। সঠিকভাবে পূরণ করা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।

২। দুই কপি ল্যাব প্রিন্ট রঙিন ছবি।

৩। ৬ মাস মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট।

৪। ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি।

৫। করোনার টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট।

৬। ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

Read More

Hosting Partner