পৃথিবীতে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না,যে তার কোন কষ্ট নেই | আমরা কষ্টে থাকলে প্রায়ই স্ট্যাটাস দিয়ে থাকি এবং আমাদের মনের কষ্টগুলো কমানোর চেষ্টা করি | আমাদের কষ্টগুলো দ্বিগুণ হয় গভীর রাতে,সেগুলো প্রকাশের জন্য কোন ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না | মনকে হালকা করার জন্য নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা হয় অন্যের কাছে | তা না হলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ কষ্টের স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার করে থাকে | আমরা জানি যে মেয়েরা খুব বেশী আবেগপ্রবন হয় ছেলেদের তুলনায় | তাদের আবেগ বেশি,এ কারণে তারা বেশি কষ্ট পায় |
মেয়েদের মন অল্পতেই কষ্টে কাতর হয়ে যায়,প্রিয়জনের একটু খারাপ আচরণ তাদের মনকে কষ্ট দেয় এবং তাদের মনকে ভেঙে দেয় | আজকে আমরা এমন কিছু উক্তি এবং আবেগি কষ্টের স্ট্যাটাস আপনাদের সাথে আলোচনা করব | এগুলো মনের গভীরে কষ্ট থেকে নিশ্চিত হওয়ার উক্তি,আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে | বর্তমানে নিজের কষ্টের স্ট্যাটাস কষ্টের কথাগুলো একমাত্র প্রকাশের জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক |
ফেসবুকে আমরা আমাদের কষ্টের কথা বন্ধুদের কাছে জানিয়ে আমাদের মনকে হালকা করতে পারি | এজন্য আপনাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেল পড়তে হবে | এরকম কিছু স্ট্যাটাস কালেকশন রয়েছে আজকের আর্টিকেলে | আপনারা আপনাদের পছন্দের ফেসবুক স্ট্যাটাস আমাদের এখান থেকে বেছে নিতে পারেন এবং ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন |
মেয়েদের কষ্টের স্ট্যাটাস
> কিছু মেয়ে মানুষ আছে তাদের প্রচন্ড মন খারাপের সময় টা তে ফ্যামিলি,প্রিয় মানুষ
কিংবা ফ্রেন্ড,কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না,কাউকেই না |
> মেয়ে মানে,চেহারা খারাপ হলে বিয়ে হবে না | মেয়ে মানে রেজাল্ট খারাপ হলে বিয়ের
হুমকি সোনা |
> মেয়ে মানে রাস্তাঘাটে বাজে কথা শোনা,মেয়ে মানে পরিবারের জন্য প্রিয় মানুষটাকে
বিসর্জন দেওয়া |
> মেয়ে মানে,ভালোবাসার মানুষটাকে ছেড়ে অচেনা কেউ একজনকে বিয়ে করা | মেয়ে
মানে,বিয়ের পরে সন্তানের জন্ম নিয়ে খোটা শোনা |
> মেয়ে মানে,সারাদিন কষ্ট করেও শ্বশুর-শাশুড়ির খোটা শোনা | মেয়ে মানে,ভালো না থেকেও বাবা-মাকে ভালো আছি বলা |
> মেয়ে মানে,শত শত কষ্ট আর অত্যাচার সহ্য করে শ্বশুরবাড়ি পড়ে থাকা | মেয়ে মানে, হাজার হাজার অভিযোগ নিয়ে হাসিমুখে মানিয়ে নেওয়া | মেয়ে মানে,ভালো না থেকেও ভালো থাকা |
> মেয়েরা জানে কিভাবে পরিবারের মানুষের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয় |কষ্ট হলেও সবকিছু মানিয়ে নেয়,কারণ সে জানে সে মেয়ে তার ভালোলাগার,খারাপ লাগার কোন মূল্য নেই |
মেয়েদের কান্না নিয়ে উক্তি
> দিন দিন প্রতি সেকেন্ডে তিল তিল করে মরার স্বাদও অন্য রকম হয়,কান্না করেও কাউকে ভেতরের কথাগুলো বোঝানো যায় না | যেখানে না একেবারে মরা যায় আর না একেবারে প্রশান্তির ছোঁয়ায় বাঁচা যায় |
> এই দুনিয়ায় ভেঙে দেওয়ার মানুষের অভাব নেই,শুধু আগলে রাখার মানুষেরই অনেকটা অভাব |
> নীরবতায় ঝরে পড়ে অশ্রুকণা | কেউ দেখার থাকেনা,কেউ বুঝার থাকে না | অবলীলায় পড়ে রয় অস্তিত্ব ময়লা স্তূপের কোনায় | যার যে ভাবনা মনগড়া নামের হলেও মনের কোণায় বিষাদ ছাড়া কিছুই থাকে না |
> চোখের জল বিসর্জন হয়ে কখনো প্রকাশ পায় দুঃখে,কখনো সুখে,আবার কখনো রোগে | তবে মাঝে মাঝে অভিনয় করতে গিয়েও চমৎকার ভাবে প্রকাশিত হয় অন্যের কাছে | যেখানে মিথ্যের আড়ালে থেকে যায়,অনেক লুকায়িত সত্য |
> চোখের জল যদি রং হতো তাহলে অন্যকে চরম আঘাত জর্জিত করার আগে,মানুষ শতবার ভাবতো | কখনো বা ওই চোখ দেখে ভয়েতে আঁতকে উঠতো |
> এক ফোটা চোখের জল ঝরার চেয়ে এক ফোটা রক্ত ঝরা অনেক ভালো,কারণ এক ফোটা রক্ত বের হলে হালকা ব্যথা লাগে,আর এক ফোটা চোখের জল পুরো হৃদয় চিড়ে বের করে |
> কষ্ট দাও তবে এত কষ্ট দিও না যা সইবার ক্ষমতা আমার নেই,কষ্ট দাও তবে এত দিও না যা বইবার ক্ষমতা আমার নেই | আমাকে এত বেশি কাঁদিও না,যে কাঁন্নার জল একদিন তোমাকে ভাসিয়ে দিবে |
> মন পাখি তুই বুঝলি নারে আমার মনের কথা, বোঝার মতো হয়নিরে তোর ক্ষমতা |
বুঝবি যখন থাকবো নারে যাব অনেক দূরে, তখন পাখি কাঁদবিরে তুই চোখের পানি
ফেলে |
> এক বিন্দু জল যদি চোখ দিয়ে পড়ে সে জলের ফোটা শুধু তোমার কথা বলে,
মনের কথা বুঝনা তুমি মুখে বলি তাই, শত আঘাতের পরেও আমি তোমাকে ভালবেসে
যাই |
গভীর রাতে কষ্টের স্ট্যাটাস
> কষ্ট যদি কাগজ হত তাহলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিতাম, কিন্তু কষ্ট গুলো হল আগুন যা আমাকে কাগজের মতো পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে |
> অচেনা পাখি হয়ে বেধেছিলে বাসা, নিয়ে গেলে মন তুমি ভেঙ্গে দিলে আশা
কার আকাশে এখন তুমি মিষ্টি গান গাও, মন ভেঙে তুমি কি সুখ পাও |
> মানুষ যখন কিছু পায় তখন সে বুঝেনা সে কি পেয়েছে যখন হারিয়ে ফেলে তখন সে বুঝে সে কি পেয়েছিল, কাকে সে হারিয়েছে |
> কাউকে পেয়ে যদি আমাকে ভুলে যাও তাহলে আমার কষ্ট হবে না,কষ্ট তো তখনই হবে যখন শুনতে পারব তার কাছেও তুমি ভালো নেই |
> ছেড়ে গিয়েও স্মৃতির মাঝে ডুব,অভিশাপ দিলাম স্মৃতি ছাড়াই ভালো থাকুক সে |
> জীবনের গল্পটা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেছে,হয়তো আর কখনো সাজাতে পারব না আগের মত করে |
> নীরবে কাদার চেয়ে বড় কষ্ট বোধহয় পৃথিবীতে আর কিছুই নেই |
> একটা সময় ছিল তুই আমার সাথে কথা বলার জন্য পাগল ছিলি,কিন্তু আজ সময়টা অনেক বদলে গেছে |
> জীবনটা কত বৈচিত্র্যময় মুহূর্তে মুহূর্তে পরিবর্তন হয়,স্বপ্ন ভাঙে স্বপ্ন গড়ে, কখনো দুঃখ
কখনো কষ্ট আবার কখনো সুখ |
> মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বড় স্কুল হলো শ্বশুরবাড়ি, সেখানে শিক্ষকের অভাব নেই আর শিক্ষার ও অভাব নেই |
> নিজের জীবনের চেয়ে বেশি কাউকে চাইলে,উপহার হিসেবে চোখের জল ব্যতীত আর কিছুই হয় না প্রাপ্তি |
মেয়েদের কষ্টের কবিতা
> পরী হয় মেয়েরা
কিন্তু পাখা হয় না,
বাবার বাড়িও হয়
শশুর বাড়িও হয়
কিন্তু নিজের বাড়িটাই হয়না |
> কাঁদছি আমি মনে মনে
হাসছি শুধু মুখে,
হাসি দেখে সবাই বলে
আছি আমি সুখে |
জিজ্ঞেস করে সবাই আমায়
তুমি কেন এত সুখী ?
কি করে বলবো তাদের
সত্যি যে আমি দুঃখী |
কেউবা আবার পাগল বলে
কেউ বা অন্য কিছু,
কিছুই আমার বলার নেই
নিরব আমি শুধু |
> সব আশা আমার জীবনের নীড়ে
জানিনা জীবনে আসবে কেউ,
কষ্টে বাসা বেধেছে এই মনে
মন ভাঙ্গা আবেগে ঢেউ |
আপন-মনে মুগ্ধ হইয়া
আপন মনও আজ হইলো পর,
আমার আবেগের সূচনা কভু
আগের মতো নেয় না খবর |
আমার মনেরও সুজন হইলে
প্রথম দেখিয়া হইলাম মুগ্ধ,
আজীবন দিলে পীরত বিদায়
তোকে ঠাঁই দিয়ে হয়েছে অন্তরে দগ্ধ |
দুঃখ-বেদনা সবারই আছে
আছে যাওয়ার আসার পালা,
ফুলের মত পবিত্র আমার জীবন
সেই ফুলের মালা গেঁথে আজ মন |
শেষ আরতি বন্দি বানায়ে
আমার স্বপ্নের প্রিয়জন,
রজনী আমার ডুবে গেছে
তবুও কাছে টানে আমার মন |
> একটি গাছে দুটি পাখি
বেঁধেছিলো বাসা,
সেই বাসাতে থাকবে বলে
ছিল অনেক আশা |
হঠাৎ একদিন ঝড় এসে
ভেঙে দিল বাসা,
সেদিন থেকে ভেঙে গেল
আমার ভালোবাসা |
মেয়েদের নিয়ে সেরা উক্তি
> আমাদের এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মেয়ে হয়ে জন্মানো অনেকটা অভিশাপের মতো | কারণ,একটা মেয়ে সবসময় অসহায়,চলতে-ফিরতে,উঠতে-বসতে | এমনকি নিজের ইচ্ছামত চলতে পারে না | তাই,মেয়ে মানেই অসহায় |
> মেয়ে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রত্যেকটা সময় অন্যের উপর নির্ভর করে বেঁচে থাকে | কখনো পরিবারের কাছে,কখনো স্বপ্নের কাছে,কখনো ভালবাসার মানুষের কাছে,কখনো সমাজের কাছে,কখনো নিজের ইচ্ছার কাছে |
> মেয়েদের জীবনে চাওয়া-পাওয়া গুলো নিজের একান্তে থেকে যায়,কখনো তাদের মুখে প্রকাশ পায় না | তাদের যেন কোনো স্বপ্ন বা আশা থাকতে নেই,তাদের জন্য যেটা থাকে সেটা হলো অন্যের জন্য বেঁচে থাকা |
> মেয়েরা জন্মের পর মা-বাবার জন্য,বিয়ের পর স্বামীর জন্য আর “মা” হওয়ার পর তার সন্তানের জন্য বেঁচে থাকে | মেয়েদের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত,মানিয়ে নিতে নিতে আর মানিয়ে চলতে চলতে জীবন শেষ |
> সবাই শুধু মেয়েদের বাহিক্য দিকটাই বুঝে,চিনে কিন্তু ভেতরের নরম মনের কথাগুলো বুঝার সাধ্য কারোর থাকেনা,স্বয়ং রক্তের মানুষদের ও না |
> মাঝে মাঝে নিজেকে রোবট করে নিতে হয় | যার কোন অনুভূতি,ইচ্ছে-অনিচ্ছে এক প্রকার কোন মতামত গ্রহণযোগ্য হয় না |
> ছেলেরা একটু কষ্ট পেলেই মেয়েদেরকে ঘৃণা করে, কিন্তু মেয়েরা হাজার গুন কষ্ট পেলেও ঘৃণা করতে পারে না, এটাই মেয়েদের ভালোবাসা |
> মেয়েরা বিয়ের পর বউ হয় না,বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির সকলের প্রয়োজন মেটানোর একটা জীবন্ত মেশিন হয় |
> বাবা বলতেন,আমার মেয়ের হাসির শব্দে আমার বাড়িটা ঝলমল করে ওঠে |আর শশুর বলেন,কথায় কথায় এত হাসবে না লোকে কি বলবে |
মেয়েদের কষ্টের গল্প
> মেয়েদের প্রথম নিঃশ্বাসটা বাপের বাড়ি থেকে শুরু হয় আর নিঃশ্বাসটা শেষ হয় স্বামীর বাড়িতে | মেয়েদের জীবনটা কি অদ্ভুত তাইনা | জীবনের কিছু সত্য কথা,একটা মেয়ে নিজের ইচ্ছা মত ঘুরতে পারে না,নিজের পছন্দের জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারে না, নিজের পছন্দের জিনিস নিজে বেছে নিতে পারে না | সমাজের কিছু বাস্তব কথা, মেয়েদের স্বপ্নগুলো জন্মের সাথে সাথেই যেন মরে যায় |
> একটা মেয়েদের মনের কষ্ট কেউ বুঝবে না,এটা যে তার নিজের বাড়ি নয় | মেয়েদের নিজের চাওয়া পাওয়ার কোন মূল্য কখনো কেউ দেয় না | মেয়েদের সম্পর্কে না পাওয়ার কিছু বাস্তব কথা জোর গলায় কখনো কারো সাথে বলতে পারে না | তার ভালোলাগা, খারাপ লাগার মূল্য,কেউ দেয় না | কারণ,এটা যে অন্যের বাড়ি | নিজের মা-বাবা, ভাই-বোনকে দেখতে মন চাইলে নিজের ইচ্ছে মতো দেখতে ও পারে না | তার জন্য কত কথা শুনতে হয় | সারা এলাকা ঘুরে বেড়ানো মেয়েটাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে হয় | এই যে এত ত্যাগ,তারপরে ও পরিবারের মানুষ গুলোর কাছে ভালো হতে পারেনা, শুনতে হয় হাজারো রকমের কথা |
> একটা মেয়ে বিয়ের দিন নিজের বাড়ির সবকিছু ছেড়ে চলে আসে অন্যের ঘরের ঘরনী হয়ে | এই বিদায় টা যে কতটা যন্ত্রনা সেটা শুধু মাত্র একটা মেয়েই জানে | এই অনুভূতি চাইলেও ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না | মেয়েদের জীবনের বাস্তব কথা,এটা সত্যিই অনেক কষ্টের | মেয়েদের জীবন কি অদ্ভুত তাই না,পর মানুষ গুলোকে আপন করে নিতে হয় |নিজের জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়,সত্যি মেয়েদের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত |
> ছেলেরা শ্বশুরবাড়ি গিয়ে দুদিন ঠিক মত থাকতে পারে না কিন্তু মেয়েরা বাবা-মা ভাই-বোন সবাইকে ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে সারা জীবন কাটিয়ে দেয় | সত্যি মেয়েদের জীবনটা কি অদ্ভুত | মেয়েরা অভিনয় করতে পারে,কিসের অভিনয় জানেন ? হাজার কষ্টের মধ্যেও হাসিমুখে থাকার অভিনয় | মেয়েরা মনের কষ্টের কথা সব কষ্ট সহ্য করতে পারে | শ্বশুর বাড়ির মানুষ যতই খারাপ হোক না কেন স্বামী যদি ভাল হয়,মেয়েরা সব কষ্ট সহ্য করতে পারে |
মেয়েদের নিয়ে সমাজের কিছু কথা
পাশের বাড়ির কাকিমা দের কাছে বয়সটা কুড়ি পেরোলেই আপনি বুড়ি | যদি চুপচাপ থাকে তাহলে,মেয়েটা অহংকারী | কথা কম বললে বলবে,ভাব নিয়ে থাকে | বেশি কথা বললে বলবে,মাত্রাতিরিক্ত বাচাল | বিয়ের বয়স হলে,বাবা মায়ের চেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীরা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে | লেখাপড়া একটু বেশি করলে এত লেখা পড়ার কি দরকার, লেখাপড়া করে জীবনে কে কি করেছে ? মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিন,সংসারী হবে | আর সাধারন ভাবে চলাফেরা করলে,মেয়েটাকে ক্ষেত | যদি একটু বেশি সাজে তাহলে বলবে, মেয়েটি নির্ঘাত কোন ছেলের প্রেমে পড়েছে | মেয়েটি একটু রোগা হলে বলবে,বাবা-মা মনে হয় কিছুই খাওয়ায় না | আজ কাল কার ছেলেরা মোটা মেয়ে একদম পছন্দ করেনা |
মেয়েদের জীবনের কিছু সত্য কথা,যে কথাগুলো মেয়েদের সারাজীবন শুনতে হয় | ঠিক করে বসো,ঠিক করে ঘুমাও,ঠিক করে হাট,ঠিক করে চলো,লোকে কি বলবে,সমাজ কি বলবে,পাশের বাসার আন্টিরা কি বলবে,পাড়া-প্রতিবেশীরা কি বলবে | এসব শুনতে শুনতে মেয়েদের জীবন কেটে যায় | মেয়েদের জীবনটা সত্যিই আজব | চেনা নেই জানা নেই,কখনো দেখা নেই অথচ সেই মানুষটাকে আপন করে নিতে হয় | বিয়ের পর আসলেই কি মেয়েরা নিজে ইচ্ছে করেই স্বামীর বাড়িতে যায়,না তাকে যেতে বাধ্য করে |
একটি মেয়ে যে বাড়িতে ছোট থেকে বড় হয়,সেই বাড়িটা বিয়ের পর একদিন তার কাছে আত্মীয় বাড়ি হয়ে যায় | নিজের আপন মা-বাবা,ভাই-বোনকে সারা জীবনের জন্য পর করে দিতে হয় | শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে নানা ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় | সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে শুনতে হয় হাজারো রকমের কথা,তবু মুখ বুজে স্বীকার করে সব সহ্য করতে হয় | কারন,সে জানে এটা যে পরের বাড়ি,পরের কথা মত চলতে হবে |
Read More