মানুষ ডিপ্রেশনের কারণে মানসিক অশান্তিতে ভোগে। যে কোন কারনে ডিপ্রেশন হতে পারে। হতে পারে সেটা পারিবারিক কারণে। আবার হতে পারে সেটা প্রেমে ছেকা খাওয়ার কারণে। আবার হতে পারে বন্ধুদের সাথে কথা কাটাকাটি হওয়ার কারণে। মূল কথা মানুষ যদি কোনো কারণে মনে আঘাত পায় তা থেকে ডিপ্রেশন শুরু হয়। যদি কোন মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগে তাহলে মানসিক অশান্তির মধ্যে দিয়ে তার জীবন পরিচালিত হয়।
আর মানসিক অশান্তি মানুষের জীবনকে কুরে কুরে খায়। তাই ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হয়ে জীবন পরিচালনা করা উচিত। যদিও অনেক সময় সবকিছু স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায় না তবুও স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কেননা স্বাভাবিকভাবে না নিলেই মনের মধ্যে ডিপ্রেশন চলে আসে। এই ডিপ্রেশন থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ নানা ধরনের স্ট্যাটাস দিয়ে থাকে। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মন খারাপের ডিপ্রেশন নিয়ে স্ট্যাটাস।
১. ডিপ্রেশনে থাকা মানুষগুলো সবার মতই স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করে। কিন্তু তাদের দেখে কেউ বুঝেনা, তারা কত কষ্ট লুকিয়ে রেখে অভিনয় করা যাচ্ছে শুধু একটু ভালো থাকার জন্য।
২. ডিপ্রেশনে থাকা মানুষগুলো কখনোই মুখ ফুটে বলতে পারে না যে আমি ভালো আছি। তারা সবসময় মিথ্যে অভিনয় দিয়ে সবাইকে হাসিখুশি রাখে। এভাবেই হয়তো তাদের দিন কেটে যায়। কিন্তু রাত হলেই ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে।
৩. ডিপ্রেশন জিনিসটা হলো পুরো ক্যান্সারের মতো। শরীরের একটি অংশে শুরু হয়, তারপর শরীরের বাকি সব স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি হলো ডিপ্রেশন! ডিপ্রেশন মানুষকে সফলতার জন্য সমস্ত আবেগ ধ্বংস করে দেয়।
৪. মানসিক যন্ত্রণা দূর করার জন্য মেডিসিন থাকলে পৃথিবীতে ডিপ্রেশন, সুইসাইড এই শব্দগুলো আর অভিধানে খুঁজে পাওয়া যেত না।
৫. আপনার যেদিন মন খারাপ থাকবে, সেইদিন আপনার প্রিয় মানুষগুলো খুবই ব্যস্ত দেখাবে।
৬. যে মানুষটাকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসবে, যত্ন নিবে, সব সময় খোঁজখবর নিবে, সেই মানুষটা তোমাকে অবহেলা করবে।
৭. আমার সব থেকে বড় সমস্যা হল সব কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা।
৮. একজন ডিপ্রেশনে থাকা মানুষই বলতে পারে সবার সামনে নিজেকে হাসিখুশি ভাবে প্রমাণ করাটা ঠিক কতটা কষ্টের।
৯. আজ আমি খুবই ব্যর্থ! কারন আমি তোমাকে কখনোই বুঝাতে পারিনি আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি।
১০. কাউকে কথা বলার জন্য কখনোই বাধ্য করিও না। বরং চুপ থেকে তাদেরকে বুঝিয়ে দেও, তুমিও একা থাকতে শিখে গেছো।
১১. প্রত্যেক মানুষের ভিতরে দুঃখ কষ্ট আছে যা কেউ জানে না আর ডিপ্রেশন এমন একটা জিনিস যা কখনো দূর করা যায় না।
১২. তুমি চিরদিনই আমার কাছে থাকবে কিন্তু বাস্তবে না, কল্পনাতে থাকবে।
১৩. ওই সুন্দর চাঁদটাকে দেখতে যতটা সুন্দর না লাগে, তোমাকে দেখলে তার চেয়ে বেশি সুন্দর লাগে।
১৪. সৃষ্টির সবকিছুই তো সুন্দর, কিন্তু মানুষের মন মানসিকতা অসুন্দর।
১৫. এই পৃথিবীতে মানুষের অভাব নেই, কিন্তু অভাব তো এটাই পৃথিবীতে এত মানুষ থাকার পরেও আমাকে ভালবাসার মত কেউই নাই।
১৬. একমাত্র ঘুমের ওষুধই জানে জীবন্ত লাশ গুলোকে ঘুম পাড়ানোটা কতটা কষ্টের।
১৭. ডিপ্রেশন শুধু প্রেমের কারণেই হয় না, মাঝে মাঝে ফ্যামিলির চিন্তা, নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা, একাকীত্ব নিয়েও হয়ে থাকে।
১৮. তার প্রতি আমার আর কোন অভিযোগ নেই, সে যাকে চায় তারই হোক এই কামনাই করি।
১৯. যে সব সময় হাসে তার অতীতটা গেটে দেখো, তুমি নিজেও কেঁদে ফেলবে।
২০. এত পারফেক্ট মানুষ খুঁজে কি হবে, যদি তার মধ্যে ভালোবাসাটাই না থাকে।
২১. আমার সবচেয়ে বড় ভুল হলো অতিরিক্ত কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করা। কিছু কিছু মন খারাপ কাউকে বলাও যায় না, আবার সহ্য করার ক্ষমতাও থাকে না।
২২. মনে হচ্ছে, আমি দিন দিন ভেতরে ভেতরে মরে যাচ্ছি। তোমাকে এতটা ভালোবাসার পরেও তুমি আমার ভালোবাসাটা বোঝার চেষ্টা করলে না।
২৩. মায়া জিনিসটা সত্যি অদ্ভুত। যদি কেউ কারো মায়ায় পড়ে যায়, তাহলে সেখান থেকেই বের হওয়াটা খুবই কঠিন। আজ আমি যার ওপর আসক্ত, সে আজ আমার উপর বিরক্ত।
২৪. আমার সারাটা হৃদয় জুড়ে শুধু তুমিই। সারা জীবন তুমি আমারি থাকবে, তোমাকে ভুলে যাওয়ার আমার কোন ক্ষমতা নেই।
২৫. নিজেকে প্রমাণ করার জন্য সব সময় চিৎকার করার প্রয়োজন হয় না। মাঝে মাঝেই নিজেকে প্রমাণ করার জন্য চুপচাপ থাকা দরকার।
২৬. মন খারাপের সময় কাউকে পাশে পাওয়া যায় না। সবাই স্বার্থপর, স্বার্থ ছাড়া কেউ কাউকে সাহায্য করে না।
২৭. মানুষ যখন কোন কিছু নেই অতিরিক্ত চিন্তা করে তখন মানুষ ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। এই সময় কেউ কারো মন খারাপের কারণ বুঝতে চায় না।
২৮. কি অদ্ভুত ব্যাপার তাই না! প্রিয় মানুষটাকে কেয়ার কম করলে তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আবার কেয়ার বেশি করলে তোমাকে আঘাত দেবে। ক্ষতি সবটাতেই তোমারই হবে।
২৯. চোখের নিচের কালো দাগ গুলোর কথা জানতে এসো না, আবার হুট করে প্রেম করা যাবে।
৩০. আমরা সবাই বাস্তবের চেয়ে কল্পনাতেই বেশি কষ্ট পেয়ে থাকি।
৩১. আমরা যাদেরকে প্রশান্তির কারণ ভাবি, দিনশেষে তারাই আমাদের মন ভেঙ্গে দিয়ে চলে যায়।
৩২. আপনি সবচেয়ে বেশি যে মানুষটাকে বিশ্বাস করবেন সেই মানুষটা আপনার বিশ্বাসের উপর আঘাত করবে।
৩৩. যেই বন্ধুটাকে মনে হবে সারা জীবন আপনার সাথে থেকে যাবে কিংবা বন্ধুত্বটা টিকিয়ে রাখবে, সেই বন্ধু দেখবেন কোন না কোন কারনে আপনার বিশ্বাসের ওপর আঘাত করে চলে যাবে।
৩৪. আমরা সারা জীবন যে মানুষটার সাথে থেকে যেতে চাই এবং আপ্রাণ চেষ্টা করে যাই তার সাথে থাকার জন্য। সেই মানুষটা কোন না কোন ভাবে আমাদেরকে ঠকিয়ে দেয়।
৩৫. আসলে ঠকিয়ে দেওয়াটা মানুষের একটা ধর্ম হয়ে গেছে। আমরা যখন সবটা উজার করে মানুষটাকে যখন বিশ্বাস করতে বসি কিংবা ভালোবাসি, তারপর কোনো না কোনো কারণ দেখে আমাদের ছেড়ে চলে যায়।
৩৬. আপনি যার উপর ডিপেন্ডেট হতে চাইবেন, তাকে সবটা বিশ্বাস করবেন, আপনার সারাদিন যে মানুষটার জন্য চিন্তা হবে ,দিন শেষে সে মানুষটা ছেড়ে যাবে। হয়তো একটু সময়ের আগে কিংবা সময়ের ব্যবধানে।
৩৭. যে সম্পর্কটাকে আপনি যত বেশি যত্ন করে করবেন, যত্ন করে বড় করবেন, সেই সম্পর্কটা ঠিক ততটাই কষ্ট দিয়ে আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে।
৩৮.তোমাকে ভালোবাসতে বাসতে আমি অন্ধ হয়ে গেলেও, আমার অবর্তমানে কেউ তোমাকে চাইলে আমার দুঃখ লাগে।
৩৯. আমার কষ্ট লাগে তখনই যখন যেই মানুষটার জন্য আমি সারাটা জীবন সেক্রিফাইস করে দিলাম, সেই মানুষটা আমার চেয়ে বেটার একটা অপশন পছন্দ করে বেছে নেয়।
৪০. বিশ্বাস ভেঙে দিলে কোন কিছু দিয়ে সেটা আটকানো যায় না। একজন মানুষ আপনাকে কথা দিয়েছিল কোনদিনও ছেড়ে যাবে না, কিন্তু সেই মানুষটাই যদি আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে আফসোস করা ছাড়া কিছুই নেই।
৪১. পৃথিবীতে যেই জিনিসটাকে আমরা মূল্যবান মনে করি, মালিক সেই জিনিসটাকে আমাদের কপাল থেকে কেড়ে নেয়।
৪২. যত বেশি আশা করবেন, যত বেশি স্বপ্ন দেখবেন, ততই অপ্রস্তুতভাবে আপনার স্বপ্ন ভেঙে যাবে।
৪৩. আপনার কষ্ট গুলো আপনার কাছেই কষ্ট। আপনার কাছ থেকে আপনার কষ্টগুলো ছাড়িয়ে গেলে, হাঁসের পাত্রও বা সমালোচনা হতে সময় লাগবে না। এটা যে কোন কষ্ট হোক না কেন!
৪৪. মন ভাঙ্গার গল্প সবাইকে বলা যায় না। এই বলতে না পারার কষ্টটা নিয়ে কিছু মানুষ সারা রাত গুমড়ে কাঁদে। আপনি কাউকে কষ্টটা না বলতে পারলে আপনাকে একা কান্না করতে হবে; নির্দিষ্ট ভাবে, নির্জনে, একা নিরালায়।
৪৫. আমি তোমাকে অভিযুক্ত করছি না, কারণ আমি জানি সম্পর্কটা তোমার কাছে সস্তা ছিল। তুমি সম্পর্কটাকে কখনোই মূল্যায়ন করনি কিংবা মূল্যায়ন করার প্রয়োজন মনে করোনি।
৪৬. কিছু মানুষ তাদের ইচ্ছামত সম্পর্ক বানায় সম্পর্ক গড়ে। প্রয়োজন শেষ হলে সেই সম্পর্কটা ভেঙে চুরে চলে যায়। অপর পাশের মানুষটার মন ভাঙলো কিনা সেটা দেখার সময় তাদের হাতে থাকে না, সেটা দেখার প্রয়োজনও মনে করে না।
৪৭. হাত ছেড়ে দিলেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় না। হাতে হাত রেখে দিলেই সম্পর্ক স্থায়ী হয় না। রাগ করে সেসব মানুষেরা চলে যায় তাদেরকে ফিরে আনা যায়। কিন্তু যে মানুষ স্বার্থের জন্য চলে যায় তাদেরকে কখনো ফিরিয়ে নিয়ে এসো না, আর যাই হোক স্বার্থ দিয়ে কখনো ভালোবাসা হয় না।
Read More