কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং, খরচ ও বেতন

কানাডা বাংলাদেশীদের কাছে স্বপ্নের শহর। এই স্বপ্নের শহরে যাওয়ার জন্য অনেকের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু সবার পক্ষে কানাডা দেওয়ার মত দক্ষতা থাকে না। কানাডা জব ভিসা তে যেতে চাইলে আপনাকে একজন দক্ষ কারিগর হতে হবে। আজকের এই পোস্টে আমি কানাডা জব ভিসা কিভাবে প্রসেসিং করতে হয় এবং কানাডা জব ভিসা পেতে আপনাকে কি কি করতে হবে তা বিস্তারিত তুলে ধরেছি।

আপনারা যারা কানাডা যেতে ইচ্ছুক তারা অনুগ্রহ করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন। কেননা এখানে আমি আপনার কানাডা জব ভিসা কিভাবে আবেদন করবেন, কিভাবে তা প্রসেসিং করবেন, কিভাবে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসাতে কানাডা যেতে পারবেন সবকিছু সুন্দরভাবে তুলে ধরেছি। তাই আপনি যদি সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিচের অংশ দেখুন।

কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং

কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং এর পূর্বে আপনার কাছে জব ভিসা-প্রশৃঙ্খ করার জন্য কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। উক্ত ডকুমেন্টগুলো যদি আপনার হাতে না থাকে তাহলে আপনি কানাডা জব ভিসা পাবেন না। কানাডা জব ভিসা পেতে হলে আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং আপনার প্রয়োজনের সকল কাগজপত্র থাকতে হবে। নিচে থেকে কানাডা জব ভিসা প্রসেসিং এর প্রয়োজনের কাগজপত্র দেখে নিন।

১। বৈধ পাসপোর্ট।

২। IELTS Score 6.00 এর উপরে থাকতে হবে।

৩। শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট।

৪। ব্যাংক ব্যালেন্স।

৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।

৬। ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

৭। অভিজ্ঞতা সনদপত্র।

৮। স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদপত্র।

৯। ভিসা পে রশিদ ।

১০। করোনার টিকা গ্রহনের সার্টিফিকেট।

কানাডা ভিসা প্রসেসিং এর প্রথম শর্ত হলো ভিসা আবেদন করা। ভিসা আবেদন করার পর যদি আপনার আবেদন তারা একসেপ্ট করে তাহলে আপনাকে কিছু শর্ত মেনে তা প্রসেসিং করে নিতে হবে। তাদের প্রথম শর্ত হলো আপনাকে যোগ্য প্রার্থী হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষ থাকতে হবে। তাছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা পাওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট লাগবে।

আপনি যদি ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনার মাত্র দুটি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পড়বে। ১টী কভার লেটার ও অন্যটি সিভি। তবে যদি আপনার ভিসা লেগে যায় সে ক্ষেত্রে আপনাকে উপরের 10টি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে। এই ডকুমেন্টস গুলো ছাড়া আপনি ভিসা পেলেও সেখানে যেতে পারবেন না। তাই আপনি যদি কানাডা ভিসা প্রসেসিং করতে চান তাহলে উপরের তথ্যগুলো আপনার লাগবে।

এছাড়াও কানাডা দেওয়ার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হলো যোগ্যতা। এখানে আপনাকে অবশ্যই যোগ্য প্রার্থী হতে হবে। যোগ্য প্রার্থী ছাড়া কানাডা কোন প্রকার ভিসা ছাড়ে না। আর কানাডা যাওয়ার পূর্বে তারা আপনার টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে নিবে। এছাড়াও আপনার ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। সবকিছু যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট হবে।

কানাডা জব ভিসা খরচ

কানাডা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসাতে খরচ বিভিন্ন রকম হয়। কানাডা অনেকে পড়াশোনা করতে যায়, অনেকেই কাজের উদ্দেশ্যে যায় আবার অনেকেই চাকরি করার উদ্দেশ্যে যায়। আপনি যদি নির্মাণ শ্রমিক বা অন্য কোন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে একরকম আর যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে অন্যরকম।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ – কানাডা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৫ লক্ষ্য থেকে ৬ লক্ষ টাকা। এখানে খরচের পরিমাণ সম্পূর্ণ নির্ভর করে ইউনিভার্সিটির রেংকিং অনুসারে। যে ইউনিভার্সিটির রেংক যত বেশি তার খরচ তত বেশি।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ – ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চাইলে আপনার সব মিলিয়ে খরচ পড়বে ৭ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এখানে আপনি কোন কাজের ভিত্তিতে ভিসা নিয়ে কানাডা যাচ্ছেন তার ওপর খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।

কানাডা জব ভিসা খরচ – জব ভিসা নিয়ে কানাডা যেতে চাইলে আপনার খরচ পড়বে ৯ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। তবে কোম্পানি ভিত্তিক আপনার খরচের পরিমাণ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। তবে এখানে আমি যে খরচ তুলে ধরেছি তা ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে, বিমান ভাড়া সবকিছু মিলিয়ে।

কানাডা জব ভিসা ফর বাংলাদেশি

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলোর থেকে বাংলাদেশ থেকে কানাডা যাওয়া সবচেয়ে কঠিন। তবে আপনি যদি জব ভিসা পেয়ে কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে বেশ কিছু ডকুমেন্ট রেডি করে রাখতে হবে এবং যোগ্যতা ও ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। যদি সবকিছু আপনার পরিপূর্ণ ভাবে থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে কানাডা পেয়ে যাবেন। তবে বাংলাদেশ ভাইয়েরা যদি কানাডা জব ভিসা পেতে চান প্রথমে আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে।

ভিসা আবেদনের সময় অবশ্যই মনে রাখবেন যে সিভি জমা দিবেন তার কভার লেটার যেন কানাডিয়ান কভার লেটার এর মত হয় এবং সিভি এর রাইটিং যেন কানাডিয়ান রাইটিং এর মত হয়। কানাডা সরকার এ সকল কিছু ফলো করে থাকে। তাই সবকিছু ক্লিয়ার করে ভিসা আবেদন করবেন।

এছাড়াও মনে রাখবেন ভিসা আবেদন করার পর আপনাকে প্রয়োজনে ডকুমেন্টগুলো জমা দিতে হবে। উপরে আমি সেই ডকুমেন্টগুলো তুলে ধরেছি। উপরে দেওয়া দশটি ডকুমেন্টস এর সবগুলো আপনাকে জমা দিতে হবে। তাই ভিসা কনফার্ম হওয়ার পর সেই ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই আপনার হাতে রাখবেন।

কানাডা জব ভিসা

কানাডা জব ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার প্রথম কাজ হল ভিসা আবেদন করা। ভিসা আবেদন করার পূর্বে মনে রাখবেন আপনাকে ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে এবং প্রয়োজনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তাছাড়া ভিসা আবেদন করলে আপনার ভিসা কখনোই একসেপ্ট করা হবে না। তাই ভিসা আবেদনের পূর্বে সকল জিনিস মাথায় রাখবেন।

কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আপনি পেয়ে গেলেও জব ভিসা পাওয়া একটু কঠিন। কেননা জব ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার এডুকেশনাল সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এডুকেশনাল সার্টিফিকেট থাকার পাশাপাশি আপনার অন্যান্য প্রয়োজনে ডকুমেন্টস থাকতে হবে। যদি সকল প্রয়োজনও ডকুমেন্টস প্রোপারলি থাকে তাহলে আপনি কানাডা জব ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

Read More