আপনি যদি মেয়েদের মন জয় করতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি তাকে জয় করতে পারছেন। মেয়েরা হল আবেগপ্রবণ প্রাণী। আবেগ তারা এরা পরিচালিত হয়ে থাকে। যদি মেয়েরা কোন কারনে ইমোশনাল হয় তাহলে তাদের চোখ দিয়ে অঝোরে কান্না পড়তে থাকে। তারা তখন আবেগের বসে পড়ে জীবনকে ধ্বংস করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
আপনি যদি মেয়েদেরকে আপন করে পেতে চান তাহলে প্রথমে তার মন জয় করতে হবে। তার সাথে এমন ভাবে কথা বলতে হবে যাতে সে ইমোশনাল হয়ে পড়ে। কেননা আপনার কথায় যদি একবার সে ইমোশনাল হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন দুনিয়া উল্টে গেলেও সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে না। চলুন নিচে থেকে দেখে নেই মেয়েদের ইমোশনাল করার উপায়।
মেয়েদের ইমোশনাল করার উপায়
১. ভালবাসার প্রথম শর্ত হলো ভালবাসার মানুষের কাছে কোন কিছু গোপন রাখা যাবে না। সব সময় তার কাছে সৎ থাকার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন আপনি খুব সহজেই মেয়েদের মন জয় করতে পেরেছেন।
২. প্রত্যেকটি মানুষেরই ভালো মন্দ দুটি দিক থাকে। আপনার ভালোবাসার মানুষটিরও সেরকম কিছু দুর্বলতা দিক থাকতে পারে। সেই কথা বলে কখনোই তাকে রাগানো যাবে না।
৩. আত্মবিশ্বাসী হতে হবে! মেয়েরা তো বিশ্বাসী ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষদের পছন্দ করে। প্রিয় মানুষের মানসিক ও শারীরিক চাহিদার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
৪. নিজের অর্থ সম্পদের চেয়ে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে। প্রত্যেক নারী তার প্রিয়জনের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ভালবাসা পেতে চায়। নারী চায় তার প্রিয় মানুষ তার প্রতি যত্নবান হোক। সবকিছুর ঊর্ধ্বে তাকে দেখুন। তাই ভালবাসতে সবার আগে যত্ন করতে শিখুন।
৫.মেয়েরা সব সময় হাসি খুশি থাকা ছেলেদের কে বেশি প্রাধান্য দেয়। যেসব ছেলেরা তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে হাসি তামাশা করে মেয়েরা সেই রকম ছেলেদেরকে একটু বেশিই পছন্দ করে থাকে।
৬. মেয়েরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও ফিটফাট থাকতে পছন্দ করে। মেয়েরা চায় তার ভালোবাসার মানুষটি সব দিক দিয়ে ফিট থাকুকু।
৭. আপনার প্রিয় মানুষটি সঙ্গে জীবনেও কোন নারীর তুলনা করবেন না। নারীরা সাধারণত তার সাথে অন্য কারো তুলনা করতে পছন্দ করে না।
৮. আপনর প্রিয় মানুষটার কথা সব সময় বেশি প্রাধান্য দেওয়ার একটু চেষ্টা করবেন, এবং তাদের মতামতকে সব সময় সম্মান দেখাতে চেষ্টা করুন।
৯. মেয়েদের প্রশংসা করতে শিখুন, এতে আপনার সঙ্গির মন পেতে সহজ হবে।
১০. আপনি যাকে মনের মানুষ বানাতে চান তাকে প্রথমে নানান কায়দায় বোঝাতে চেষ্টা করুন। আপনার সঙ্গী কি কি পছন্দ করে আর কি কি অপছন্দ করে সেগুলো ভালোভাবে জেনে নিন।
১১. আপনার সঙ্গীর পছন্দের কাজগুলো বারে বারে দেখানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার সঙ্গী খুবই খুশি হবে।
১২. ছোট ছোট বিষয় গুলো খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- পুরুষের দায়িত্ব হচ্ছে নারী সঙ্গীটিকে নিরাপদে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা। কখনোই তাকে পিছনে ফেলে নিজে এগিয়ে না যাওয়া। বেড়াতে যাওয়া বা খাবার এমন বিষয়ে তার পছন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা এবং গুরুত্ব দেওয়া।
১৩. মেয়েরা নিজেরা মাঝে মাঝে জানেনা তারা আসলে কি চায়। সুতরাং সেই সময় তাদের হ্যা এর সাথে হ্যা মিলিয়ে চলাই ভালো।
১৪. মুড অফ, রাগ, দুঃখ, অভিমান যে ধরনের অনুভূতিই প্রেমিকা বা স্ত্রীর মধ্যে কাজ করুক না কেন সেই সময় একটু মিষ্টি সুরে কথা বলুন এবং তাকে হাসানোর চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী মন ঠিক হয়ে যাবে।
১৫. মেয়েদের সাথে সব সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলুন এবং সব সময় মজার মজার কথা বলুন।
১৬. যার মন জয় করতে চান তার সব কাজে সব সময় প্রশংসা করুন। প্রশংসা যেন কখনো বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
১৭. আপনি সারাদিনে যা যা করবেন সবকিছু তাকে বলার চেষ্টা করবেন তখন তিনি মনে মনে অনেক খুশি হবেন।
১৮. আপনার ভালো লাগার চেয়ে আপনার প্রিয় মানুষটির দিকে বেশি খেয়াল রাখুন, তার প্রতি যত্ন রাখুন।
১৯. যদি আপনি বেশি রাগী হন তাহলে তার সামনে কখনোই রাগটা দেখাবেন না, কারণ মেয়েরা রাগী ছেলেদের পছন্দ করে না।
২০. প্রিয়তমাকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিতে হবে। সে কি জানতে চায় কি বলতে চায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে আপনার প্রতি তার মনোযোগ বাড়বে। আর তার মন পাওয়া আপনার জন্য একটু সহজ হবে।
২১. ফেলে আসা জীবনে যেসব মেয়েদের সঙ্গে আপনার প্রেম ছিল সেসব গল্প আপনার প্রিয়তমার সামনে বলবেন না। যদি সে কখনো জানতে চায় তাহলে বলতে পারেন।
২২. আপনাকে একটা ভালো রকমের শ্রোতা হতে হবে। কারণ মেয়েরা কথার ছলে গল্প বলতেও ভালোবাসে। আপনার প্রিয় মানুষটির গল্পে কখনো বিরক্ত হবেন না। যদি বিরক্ত হন তাহলে সে আপনার উপরে রেগে যাবে।
২৩. আপনার মনে হাজার দুঃখ কষ্ট থাকতে পারে, তাই বলে যে আপনি আপনার প্রিয় মানুষটার সামনে এগুলো কথা বলবেন এমনটা নয়। প্রিয় মানুষটাকেও এই দুঃখ কষ্ট গুলো বুঝতে দিবেন না। সব সময় তার সামনে হাসিখুশি ভাবে থাকার চেষ্টা করবেন। তাহলে সে আপনাকে দায়িত্বশীল ভাববে।
২৪. কথায় বলে প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করে না। তাই যতটুকু পারেন প্রিয়জনের কাছাকাছি থাকুন এবং তাকে বেশি বেশি সময় দিন।
২৫. প্রিয় মানুষটির পছন্দ অপছন্দের প্রতি খেয়াল রাখুন। তার ভালোলাগা ও খারাপ লাগার বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। তার বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
২৬. ভালোবাসার মানুষটির বিশ্বাসে কোনদিন আঘাত করবেন না। তারা প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে এগুলো কখনো আশা করে না।
২৭. কখনো মেয়েদের শরীরের লোভে পড়বেন না, সব সময় তাদের মনের গুরুত্ব দিন। শরীর বৃত্তিয় ভালোবাসা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ভালবাসুন মন থেকে, তাহলে অনায়াসে শরীর মন দুটোই পেয়ে যাবেন।
২৮. আপনার মনের কথাটা বোঝানোর জন্য তার সামনে তাড়াহুড়া করবেন না। একটা কথাই মাথায় রাখতে হবে মেয়েরা ধৈর্যশীল ছেলেদের খুব বেশি পছন্দ করে।
মেয়েদের মন জয় করার উপায়
২৯. মেয়েরা ছেলেদের মুচকি হাসিটা খুব পছন্দ করে। আপনি এটা করার চেষ্টা করুন।
৩০. তার মন ভালো রাখার জন্য তাকে সব সময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন।
৩১. আপনার ভবিষ্যৎ প্ল্যান তার সাথে শেয়ার করুন এবং তাকে আপনার মনের মত করে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩২. ভুলেও মেয়েদেরকে নিজে দুর্বলতার কথা বলতে যাবেন না।যদি বলেন তাহলে আপনার প্রতি মেয়ের অবহেলা শুরু হতে পারে।
৩৩. আপনি যদি সত্যিই কোন মেয়েকে ইমপ্রেস করতে চান অবশ্যই তাহলে আপনাকে নারীর প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
৩৪. মেয়েরা যেমন উপহার পেতে পছন্দ করে, ঠিক তারা বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা পেতেও অনেক বেশি পছন্দ করে। এটা হতে পারে তার জন্মদিন কিংবা কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিবসে। তাই চেষ্টা করুন বিশেষ দিনে আপনার প্রিয় মানুষটাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানানো। এর বিনিময়ে মেয়ের মন জয় করা যেতে পারে।
৩৫. যদি মেয়েদের সাথে সব সময় সুন্দরভাবে কথা বলতে পারেন তাহলে মেয়েদের মন জয় করা জন্য আপনি সবার আগে এগিয়ে থাকবেন। মেয়েরা সুন্দরভাবে কথা বলা ছেলেদের খুব পছন্দ করে।
৩৬. যদি আপনি কথা বলার সময় সঠিকভাবে হাত নাড়াচাড়া দিয়ে কথা বলতে পারেন তাহলে মেয়েরা আপনার প্রতি অনেক আকর্ষণ বেড়ে যাবে।
৩৭.আপনি যার মন জয় করার জন্য চেষ্টা করছেন তাহলে সব সময় তার সাথে থাকার চেষ্টা করুন, এবং তার কথা মেনে চলুন। তার সাথে কখনোই তর্কে যাবেন না।
৩৮. আপনাকে সর্বপ্রথম খুঁজে বের করতে হবে মেয়েটি কোন টাইপের এবং মেয়েদের দুর্বলতা কোথায়। তারপরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগে টার্গেট পয়েন্ট খুঁজে বের করতে হবে, তারপর জায়গা মত হিট করতে হবে। যেমন কোন মেয়েকে তার বাবার সম্পর্কে একটু প্রশংসা করলেও সে ফিদা হয়ে যায়। আবার কোন মেয়ে বুঝে ফেলে যে ছেলেটি পামপট্টি দিচ্ছে। তাই আপনাকে আগে খুঁজে বের করতে হবে এবং অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩৯. তাকে নিয়মিত কিছু উপহার দিন তার ভালোলাগা কিছু যা সে পছন্দ করে।
৪০. প্রশংসা যেন কখনোই বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৪১. আপনার ভালোলাগা গুলো তার সাথে শেয়ার করুন। এতে মেয়েটি আপনার প্রতি মনোযোগ দিবে।
৪২. আপনার সঙ্গীর পছন্দের কাজগুলো বারে বারে দেখানো জন্য চেষ্টা করুন। এতে আপনার সঙ্গী খুব খুশি হবে।
৪৩. প্রকৃতিগতভাবেই নারীরা কোমল। তাই প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় কখনো কঠোর হবে না। কোমল সুরে নারীর সঙ্গে কথা বলুন।
Read More