কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য অন্যরকম। আমাদের দুঃখ ভরা ক্লান্ত মনকে জয় করার জন্য কৃষ্ণচূড়া ফুলের সৌন্দর্য যথেষ্ট। যখন গাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে তখন সেই পরিবেশ যেন সৌন্দর্যের গহনা পরে। পরিবেশ তখন অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। আজকের এই পোস্টটি কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে। এখানে আপনি পাবেন কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে ক্যাপশন, স্ট্যাটাস ও কবিতা।
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে ক্যাপশন
১. কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখলে আমি অবাক চোখে তাকিয়ে থাকি আর ভাবি সৃষ্টিকর্তা এত সৌন্দর্য মন্ডিতভাবে কিভাবে এই ফুল সৃষ্টি করল।
২. আমার প্রেম বিনোদনের প্রথম ভুল ছিল কৃষ্ণচূড়া। তাই এই ফুলের স্মৃতি আমাকে সর্বদাই তাড়িত করে।
৩. কৃষ্ণচূড়া ফুল হল প্রকৃতির গহনা স্বরূপ, কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটলে প্রকৃতি যেন তার সৌন্দর্য ফিরে পায়।
৪. কৃষ্ণচূড়া ফুল! তুমি ফুটবে বলে প্রকৃতি আজ এক অনন্য রকম অপরূপে সেজে রয়েছে।
৫. কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার সকল অঙ্গ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। এই কৃষ্ণচূড়া ফুল সারাদিন আমাকে মোহিত করে রাখে।
৬. কৃষ্ণচূড়া ফুল! তোমাকে আমি প্রতিনিয়ত ও ভালোবাসা বিনোদন করতে চাই। আর কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার কাছে প্রতিবার ভালোবাসা বিনোদনে থাকবে।
৭. আমি আমার জীবনে এমন কোন মানুষ পেলাম না যে যার মাঝে কৃষ্ণচূড়ার মত সৌন্দর্য আছে।
৮. ও কৃষ্ণচূড়া ফুল তুমি আমাকে ছেড়ে কোনদিন যেও না।
৯. কৃষ্ণচূড়া ফুল পৃথিবীতে আছে বলেই পৃথিবী আজ এত সুন্দর!
কৃষ্ণচূড়া ফুলের ক্যাপশন
১০. আমাকে কেউ আর প্রেমে ফেলাতে পারে না, কারণ আমি কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছি।
১১. কৃষ্ণচূড়া ফুলের সাথে আমি এমন মায়া বন্ধনে জড়িয়ে গিয়েছি সেখান থেকে বের হওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
১২. কৃষ্ণচূড়া গাছ বাড়ির পাশে থাকার কারণে কৃষ্ণচূড়া ফুল দেখে দেখে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছি। কারনে যার কারণে এই কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রতি আমার একটা আলাদা ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে গেছে।
১৩. কৃষ্ণচূড়া ফুল শুধু প্রকৃতিকে ত্বরান্বিত করে না, সেই সাথে মানুষের মন কেউ ত্বরান্বিত করে রাখে।
১৪. কৃষ্ণচূড়া ফুল রাস্তার পাশে দেখলে মন একদম প্রশান্তিতে ভরে যায়, এই ফুলের প্রতি অন্যরকম এক ভালোলাগা ও ভালোবাসা কাজ করে।
১৫. আমার যখন প্রচন্ড মন খারাপ হয় তখন আমি এই কৃষ্ণচূড়া ফুলকে দেখি, এই ফুল দেখার সাথে সাথে আমার মনটা ভালো হয়ে যায়।
১৬. কৃষ্ণচূড়া ফুলের মত এত সুন্দর এবং অপরূপ অন্য আর কোন ফুল আছে কিনা তা আমার জানা নেই।
১৭. আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসার ফুল হলো কৃষ্ণচূড়া ফুল, কারণ এ ফুল দেখে আমি ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছি।
১৮. যদি একবার কোন জিনিসের প্রতি ভালো লাগে এবং ভালোবাসা জন্মে যায় তাহলে সেখান থেকে বের হয়ে আসাটা অনেক কঠিন ঠিক তেমনি কৃষ্ণচূড়া ফুলের প্রতি আমার ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতা হয়েছে।
কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে ক্যাপশন
১৯. কৃষ্ণচূড়া ফুল এমন একটি ফুল যায় মানুষকে প্রেমে পড়তে বাধ্য করে, যেমন আমি নিজেই কৃষ্ণচূড়ার প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েছি।
২১. কৃষ্ণচূড়ার মত সুন্দর হে তুমি, সৃষ্টিকর্তা এত সুন্দর করে গড়েছে তোমায়!
২২. কৃষ্ণচূড়ার লালে লালে জড়িয়ে আছো তুমি, তাইতো আমার কাছে কৃষ্ণচূড়া ফুল এতটা প্রিয়!
২৩. আমার কাছে গোলাপ ফুল নয়, কৃষ্ণচূড়া ফুলি আমার কাছে রানী।
২৪. কৃষ্ণচূড়াফুলকে আমি অনেক ভালোবাসি, কারণ এই ফুলের মাঝে আমি আমার নিজেকে খুঁজে পাই।
২৫. প্রিয় তোমার এই সুন্দর পৃথিবী আমি কৃষ্ণচূড়ায় ভরিয়ে দেবো।
২৬. কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে তুমি আমার কাছে না হয় শেষ বিকেলেই আসো, তারপর হয়তো পরবর্তী কথাগুলো চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বলব।
২৭. কৃষ্ণচূড়া ফুল সামনে থাকলে মনে হয় সারাক্ষণ তার দিকেই তাকিয়ে থাকি। এই ফুলটা আমার কাছে অনেক প্রিয়।
২৮. প্রিয় কৃষ্ণচূড়ার ঘ্রাণ তোমার শরীরের গন্ধে মিশে আছে।
২৯. হাজারো কাব্য, হাজারো রচনা এই কৃষ্ণচূড়া ফুলকে নিয়ে রচিত হয়েছে। এখন সেগুলো প্রকাশ হওয়ার অপেক্ষায়।
৩০. কৃষ্ণ জোড়া ফুল যেমন তার পাতার সাথে থাকতে আরাম বোধ করে, ঠিক আমিও তেমনি তোমার সাথে থাকতে আরাম বোধ করি।
৩১. প্রিয় তুমি আসবে বলে আমি আমার বেলকনি আমার বারান্দা আর আমার সেই ব্রেঞ্চি কৃষ্ণচূড়া দিয়ে সাজিয়েছি। তুমি আর আমি সেই বেঞ্চিতে বসে প্রতিদিন কবিতা পাঠ করব।
কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে স্ট্যাটাস
৩২. যদি তুমি কোন একদিন কৃষ্ণচূড়া ফুলের মত ঝরে পড়ে যাও, তাহলে মনে রেখ আমিও কৃষ্ণচূড়া ফুলের মত ঝরে যাব।
৩৩. সেই অনেকদিন হলো আমি আমার বইয়ের মাঝে কৃষ্ণচূড়া গুজে রেখেছিলাম, এতদিনে মনে হয় সেই পাপীগুলো শুকিয়ে গেছে, প্রিয় তবুও তুমি আমার কাছে এলে না।
৩৪. আমাকে কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে প্রপোজ করতে পারবে কি!
৩৫. আমি চাই কৃষ্ণচূড়া ফুলের বৃষ্টি নামুক ,আর সেই বৃষ্টিতে তুমি আর আমি ইচ্ছেমতো ভিজবো।
৩৬. আমি চাই তুমি আমার জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে একটা চিঠি লেখ, আর সেই পুরো চিঠি জুড়ে শুধু কৃষ্ণর ফুলের নাম লেখা থাকবে।
৩৭. এই কৃষ্ণচূড়া ফুল তুমি কবে ফুটবে, তোমাকে নিয়ে কবিতা-ছন্দ লেখার জন্য হাজার হাজার কবি নদীর ধারে বসে আছে, তোমাকে নিয়ে দেখার জন্য কলমের কালি ফুরিয়ে যাচ্ছে, কাগজের পাতা শেষ হয়ে যাচ্ছে, সর্বোপরি দিনগুলি গড়িয়ে যাচ্ছে।
৩৮. এই কৃষ্ণচূড়া ফুল বল তো তোমার মধ্যে এমন কি জাদু রয়েছে বলতে পারবে কি? যার জন্য সবাই তোমাকে নিয়ে এত পাগল !
৩৯. ভাগ্যবতী তো সেই কৃষ্ণচূড়া ফুলের মত সৌন্দর্য সৃষ্টিকর্তা যাকে দান করেছে।
৪০. তুমি যদি কৃষ্ণচূড়া ফুলকে পেতে চাও, তাহলে অবশ্যই অন্যান্য ফুল কেও তোমার ভালবাসতে হবে।
কৃষ্ণচূড়া ফুল নিয়ে কবিতা
অর্জুন গাছ একা ছিল ওই মাঠে
আর্য পুরুষ আভিজাত্যর দম্য
নতজানু হলো সব গাছ তার কাছে
এইটুকু শুধু আরম্ভ কাহিনীর।
কোথা থেকে এলো এক কৃষ্ণচূড়ার বীজ
যুবতী হলো সে কয়েক বছর পরে
সাঁওতালি মেয়ে, খোপায় তীব্র লাল
অর্জুন তাকে চাইলো আপন করে।
নতজানু হবে এমন মেয়ে সে নয়,
বসন্তে সে তো একাই নিজেই সাজে,
আর্য পুরুষে আসক্তি নেই তার
ব্যস্ত আছে সে ফুল ফুটানোর কাজে।
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে কবিতা
খোপা থেকে খসে গতরাত্রের ফুল
ঝিরঝিরি পাতা পোশাক বুনছে তার
অর্জুন, সে যে আর্য পুরুষ!
ভাবে সব সুন্দরে একা তার অধিকার।
অর্জুন গাছ চেয়ে দেখে দূর থেকে
কৃষ্ণচূড়া হৃদয় ঝরছে রোজ,
রূপ দেখে তার ধাধায় দুখানি চোখ
ভাবে, কবে পাবো ওই হৃদয় খোঁজ।
কাহিনী এবার শেষ করি তাড়াতাড়ি
কৃষ্ণচূড়ার জেদখানি বড় বেশি-
অভিমান সেও বিকামে না কারও কাছে
বরঞ্চ হবে বন্ধু বা প্রতিবেশী।
যদিও কাহিনী এমন সহজ নয়
অর্জুনের শুধু বাকল ঝরেছে
সাঁওতালি মেয়ে রক্ত ঝরাতে জানে
আর্য পুরুষ হার মানে অন্তরে।
পরের জন্য অর্জুন গাছ হয়ে
কৃষ্ণচূড়াকে বন্ধুর মতো দেখে
আমাকে চিনতে ভুল করো না ঋজু,
রক্ত জড়ালে বাকল খসিয়ে ডেকো।
কৃষ্ণচূড়া তুমি তো জানো সব-ই
বহু প্রেমের তুমি তো নির্বাক কবি,
কৃষ্ণ প্রেমের পরিণতি তোমাতে
রাঙালে তাদের মন দাঁড়িয়ে তফাতে।
বহু প্রেমের সাক্ষী তুমি,
কত বিরহের মিলন তুমি।
তোমার রাঙ্গা লাল ও গোলাপ ফুলে,
রঙিন স্বপ্নগুলো ডানা মেলে দুলে দুলে।
ভালোবাসার ভগবান কৃষ্ণকে তো চেনো?
রাধাকৃষ্ণের মিলনের সাক্ষী তুমি তো, তা জানো।
তুমি সবার বিরহে মিলনের আশা রাখো
রাঙিয়ে মন নিজেকে অনুভবে আঁকো।
কি মধুর সুভাষিত উজ্জ্বল প্রকাশ তোমার
সবার মত উধ্বেলিত চিত্ত আমার।
তোমার রঙের খেলায় হোলির আহবান,
আকাশে আকাশে ভাসে রবি কবির গান।
Read More