কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা ও স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

পড়াশোনা করার জন্য কানাডার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম। কেননা কানাডা এর পড়াশোনার মান অনেক উন্নত হয়ে থাকে। যার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশুনার জন্য কানাডায় পাড়ি জমায়। যারা পড়াশোনা করার জন্য কানাডা যেতে চাচ্ছেন আজকে তাদের জন্য তাড়াতাড়ি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। কেননা কানাডা পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে জেনে নেওয়া হলো আপনি কিভাবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন।

কানাডায় পড়াশোনা করতে যাওয়ার আগে আপনার যোগ্যতা যাচাই করা হবে। সেখানে কানাডার দেয়া কিছু রুলস রয়েছে। আপনাকে সেসকল রুলস মেনে চলতে হবে এবং সেগুলো আপনার থাকতে হবে। যদি তাদের দেওয়া তথ্যের কোন একটি আপনার কম থাকে তাহলে আপনি কানাডা যেতে পারবেন না। তাই যারা কানাডা পড়াশোনা করতে যেতে চান তারা আজকের পোস্টটি বিস্তারিত পড়ুন। কেননা এখানে স্টুডেন্ট ভিসার যোগ্যতা ও স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে কি পরিমান খরচ হয় তা নিচে দেয়া হয়েছে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা

আপনি পৃথিবীর যে কোন দেশে পড়াশোনা করতে চান না কেন আপনাকে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য কানাডা সরকারের দিয়ে কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা থাকতে হবে। এরকম আরো কিছু রুলস রয়েছে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কি কি যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে এবং আপনার কি কি লাগবে।

১। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পূর্বশর্ত আপনাকে IELTS Score ৫.০০  অথবা এর বেশি থাকতে হবে।

২। কানাডা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তার অনুমোদন থাকতে হবে।

৩। একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।

৪। আপনি কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন এর জন্য আপনার আর্থিক অবস্থার ডকুমেন্ট দিতে হবে।

৫। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকতে হবে।

৬। এসএসসি ও এইচএসসি এর সার্টিফিকেট দিতে হবে।

৭। শারীরিক সুস্থতার একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য প্রথমে সিটিজেনশীপ ও ইমিগ্রেশন কানাডা ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। আর আপনি যদি সেই ভাবে না পারেন তাহলে আপনাকে কানাডা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করে নিতে পারেন। কানাডা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে আপনার সবচেয়ে ভালো হবে। তাছাড়া অনেকে আবার দালালের মাধ্যমে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করে থাকে।

তবে আপনি যদি দালালের মাধ্যমে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করেন তাহলে আপনার খরচ বেশি পড়বে। এর জন্য কানাডা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে আবেদন করার সবচেয়ে ভালো। এতে করে আপনার খরচের পরিমাণ অনেক কম হবে। আর কানাডা ভিসা আবেদনের যেসকল যোগ্যতা প্রয়োজন তা আমি ওপরে তুলে ধরেছি। তাই আপনি যদি যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান উপরের অংশ দেখুন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা চার বছর মেয়াদি হয়ে থাকে। তবে কোনো কারণে সেশনজট পড়লে তা আরও দীর্ঘ মেয়াদি করা যায়। তবে সে দেশের পড়াশোনা অনুসারে খুব একটা সেশনজট পড়ে না। কেননা সে দেশের পড়াশোনা বাংলাদেশের মত নয়। চার বছর মেয়াদি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে খরচ একটু বেশি পড়ে। আর আপনি যদি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৭ লক্ষ টাকা।

আর আমি উপরে যে সকল যোগ্যতা দিয়েছি তা আপনার থাকতে হবে। উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন না হলে আপনি কোনোভাবেই কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনার যত টাকা পয়সাও অথবা ক্ষমতা থাকুক না কেন। তাই কানাডা যাওয়ার জন্য উপরের দেয়া তথ্য গুলোর মধ্যে কাগজপত্র রেডি করে রাখবেন। এবং সবচেয়ে জরুরি যেটা আপনার IELTS Score ৫.০০ অথবা এর চেয়ে বেশি পয়েন্ট লাগবে।

কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

কানাডা ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়াও আপনি দালালের মাধ্যমে কানাডা ভিসা পেতে পারেন। এখন আপনি কোন ভিসায় কানাডা যাবেন সেটা আপনাকে প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি পড়াশোনার জন্য কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে স্টাডি পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকা।

আর আপনি যদি কাজের জন্য কানাডা যেতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিতে হবে। আর স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার জন্য আপনাকে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এখানে মূখ্য বিষয় হচ্ছে ইংরেজি প্রতি আপনাকে দক্ষতা থাকতে হবে। এর জন্য আপনার IELTS Score ভালো থাকতে হবে। আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে আপনার খরচ পড়বে ৭ লক্ষ টাকা।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ফরম সাধারণত আপনি হাতে পাবেন না। এর জন্য আপনাকে কানাডা সিটিজেনশিপ ও ইমিগ্রেশন কানাডা এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনাকে ফরম পূরণ করতে হবে। তাছাড়া আপনি কানাডা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ভিসা আবেদন করে নিতে পারবেন। তবে সাধারণত কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়। আর আবেদন ফরম পূরণ করার পূর্বে আপনাকে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা

বেশিরভাগ মানুষ পড়াশোনার জন্য কানাডা গিয়ে থাকে। কেননা এখানে পড়াশোনার মান অত্যন্ত উন্নত হয়ে থাকে। কানাডা পড়াশোনার জন্য আপনি চার বছর মেয়াদী একটি ভিসা সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ কানাডা আপনি কি স্টুডেন্ট পারমিট ভিসা চার বছর মেয়েদের জন্য পাবেন। তবে কোন কারণে আপনার সেশনজট থাকলে আপনি এর মেয়াদ বাড়াতে পারবেন। ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে প্রথমে ভিসা আবেদনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভিসা আবেদন করে নিতে পারেন। অথবা কোন দালালের মাধ্যমে আপনি ভিসা আবেদন করতে পারবেন। তবে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে। এবং তাদের দেয়া কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনাকে পালন করতে হবে। উপরে আনিসা আবেদনের যোগ্যতা দিয়ে দিয়েছি। সেখান থেকে দেখে নিন।

Read More

ইতালি ফ্যামিলি ভিসা প্রসেসিং

ইতালি ভিসা খরচ – ইতালি যেতে কত টাকা লাগে

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা, উক্তি, ফেসবুক স্ট্যাটাস, এসএমএস

Hosting Partner