আমাদের আজকের বিষয় মাটি নিয়ে। আমরা সবাই মাটির গুনাগুন সম্পর্কে জানি। আর এটাও জানি মাটি আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। মাটির উপর আমরা বসবাস করি। এমনকি মাটি হতে তৈরি সবকিছু আমরা ব্যবহার করে থাকি। তাই এর গুরুত্ব আমাদের কাছে অতুলনীয়। তাই আমরা আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মাটি দূষণের কারণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক মাটি দূষণ কাকে বলে।
মাটি দূষণ কাকে বলে
বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ অথবা ভুগর্ভস্থ ফাটলের কারণে নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ যখন মাটির জৈব রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তন করে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করে তখন তাকে মাটি দূষণ বলে।
মাটি দূষণের কারণ
মাটি দূষণের কারণগুলো বিভিন্ন হতে পারে নিম্নে তা দেওয়া হলো:
১. কৃষি প্রক্রিয়া: অধিক উদ্ভিদ উৎপাদন এবং কৃষি প্রক্রিয়ার জন্য রাসায়নিক সার, কীটনাশক, খাদ্য বা অন্যান্য কেমিক্যাল ব্যবহার মাটির গুণমান কমিয়ে দেয় এবং তা দূর্বল করে।
২. শহরীভূমি ব্যবস্থা: শহরের বাড়ি, প্রয়োজনীয়ভাবে শহরের এলাকা, উদ্যোগ এবং ইট তৈরির কাজের জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের অপকর্ষক কেমিক্যালের প্রবাহ মাটিতে প্রবেশ করতে পারে, যা মাটির গুণমান কমাতে পারে।
৩. কারখানা ও উদ্যোগ: কারখানা প্রক্রিয়ায় বা শিল্প উদ্যোগে ব্যবহৃত কিছু কেমিক্যাল প্রকাশ করতে পারে, যা মাটির গুণমান কমিয়ে দেয়।
৪. জল বা বায়ু দূষণ: মাটির উপর নির্ভর করে জল বা বায়ুর দূষণ মাটির গুণমান কমিয়ে দিতে পারে।
মাটি দূষণের প্রভাব মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাণী, উদ্ভিদ, জলমানুষ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি উপর্যুক্ত কারণের ফলে কৃষি উৎপাদনের মান হ্রাস পেতে পারে, প্রাকৃতিক সম্পদের বিভিন্ন উপাদান সংকোচন করতে পারে এবং প্রকৃতির সংঘাত উৎপন্ন করতে পারে। সাধারণভাবে, মাটির গুণমান উন্নত করতে দূষণ কমানো এবং প্রাকৃতিক উদ্ভিদ বা জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত, যাতে মাটির স্বাভাবিক সার্বিক গুণমান বজায় থাকে।
মাটি দূষণের প্রকারভেদ
মাটি দূষণের প্রকারভেদ নিম্নে দেওয়া হবে:
১. আর্সেনিক মাটি দূষণ: এটি মূলত আর্সেনিক ধাতুর উপর ভিত্তি করে এবং প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর মাটিতে থাকতে পারে। আর্সেনিক মাটি উপকারী উদ্ভিদ ও মানুষের জন্য বিপদজনক হতে পারে এবং আর্সেনিক বিশেষতঃ প্রমাণিত ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
২. নইট্রেট মাটি দূষণ: এটি প্রধানত নইট্রোজেন কম্পাউন্ডের উপর ভিত্তি করে, যা কৃষি প্রক্রিয়ার ফসলে সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। উচ্চ নইট্রেট মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক জীবনের জন্য বিপদজনক হতে পারে।
৩. ফসফেট মাটি দূষণ: ফসফেট মাটি দূষণ মূলত ফসফেট ধাতুর উপর ভিত্তি করে এবং এটি কৃষি প্রক্রিয়াতে ব্যবহৃত ফসফেট সারের ফলে প্রসারিত হতে পারে। এটি জলপাই, বিশেষতঃ পানিতে বাড়তি ফসফেট উপকারী উদ্ভিদ এবং প্রাণী প্রজননের ক্ষেত্রে ক্ষয়কারী হতে পারে।
৪. সালিনিটি মাটি দূষণ: সালিনিটি মাটি দূষণ মূলত প্রাকৃতিকভাবে নামী জলের ফলে সাল্টের অতিরিক্ত পরিমাণ মাটিতে সংগ্রহিত হয়। এটি ফসলের উপকারিতা এবং প্রাণী প্রজননের জন্য অকার্যকর করতে পারে।
৫. ক্ষার মাটি দূষণ: ক্ষার মাটি দূষণ মূলত বিশেষভাবে ক্ষারীয় ধাতুর উপর ভিত্তি করে, যা মাটির পিএইচ বিতরণ প্রভাবিত করতে পারে। এটি ফসলের উপকারিতা কমাতে এবং মাটির উপর ভেজা প্রভাবিত হতে পারে।
এই দূষণের প্রভাবের ফলে মানুষ, প্রাণী, উদ্ভিদ, জলমানুষ এবং পরিবেশের জন্য অনেক ক্ষতি হতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এই ধরনের দূষণ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং প্রাকৃতিক প্রকৃতির সংঘাত উৎপন্ন করতে পারে।
মাটি দূষণের ক্ষতির প্রভাব
মাটি দূষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যা পৃথিবীর সামান্য ও অগ্রাধিকারের উপর ভারী প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মানব জীবনে অস্বাস্থ্যকর প্রভাব উত্পন্ন করতে পারে। সৃষ্টির সমস্ত প্রাণীদেরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশে সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে ভেঙ্গে দেয়। নিম্নলিখিত কিছু মৌলিক প্রভাব রয়েছে:
১. মাটি উৎসর্গ: মাটি দূষণ হলে এর অবসানের প্রক্রিয়া বেগে বড়ে যায়, যাতে পৃথিবীর উপরে স্থানান্তরিত হয়ে যায় অনেক মাটি। এটি মূলত বৃষ্টিপাতে, পানিযোজিত কৃষি প্রক্রিয়াগুলি বা কার্বন ফুটপ্রিন্ট বা যাত্রা-পরিবহনের মাধ্যমে সৃষ্ট হতে পারে। মাটি উৎসর্গের ফলে উদ্ভিদ চাষাবাদ, মৃদু মণ্ডল বা গহন মণ্ডলের ক্ষেত্রে মাটির উপযুক্ততা অনুভব করতে হয়। এটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি বা কৃষিপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত পুষ্টির প্রস্তুতি করতে ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
২. মাটির গলন: অনেক সময় মানুষের কারণে বা পৃথিবীর প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার কারণে মাটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যায়। মাটির গলন প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর উপর স্থানান্তরিত হওয়া মাটির মাধ্যমে মাটির প্রাকৃতিক উপযুক্ততা হতে পারে।
৩. মাটি অর্থ ক্ষতি: মাটি দূষণের কারণে মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি ঘটতে পারে। ধরে রাখা প্রযুক্তির জন্য মাটির উপযুক্ততা কমে যেতে পারে যাতে এটি উদ্ভিদ চাষাবাদ বা কৃষি প্রক্রিয়ার জন্য উপযুক্ত নয়। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে অপ্রত্যাশিত খরচ প্রয়োজন হতে পারে।
৪. মানব স্বাস্থ্যের প্রভাব: মানব স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে, মাটি দূষণের প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার, কীটনাশক, পেট্রোলিয়াম উৎসব এবং অন্যান্য জৈব বা অজৈবিক পদার্থের ব্যবহার মানব স্বাস্থ্য উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। যা ক্যানসার, মস্তিষ্ক ব্যাধি, হৃদরোগ, হিপারটেনশন, অনান্য সমস্যার সাথে সংবদ্ধ থাকতে পারে।
৫. জৈব বৈষাম্য প্রভাব: মাটি দূষণ জৈব বৈষাম্যের প্রভাব বিনিময়ের সাথে সংবদ্ধ থাকতে পারে। যেমন, মাটি সারের উৎস এবং অনুমানিত মৃদুতা বা মাটির পিএইচ (পানির অবস্থা) প্রমাণের কারণে মাটির পরিবেশ অনুকূল হতে পারে না,।যা উদ্ভিদ বা প্রাণিজনের জীবনপ্রক্রিয়া উপযুক্ত না হওয়ার কারণে পরিণত হওয়া মানুষের জীবন সহজ করতে পারে।
মাটি দূষণ সমাধানের জন্য উচ্চমানের ধান, মাটি প্রস্তুতি ও সংরক্ষণ, ভূমি বৃদ্ধির উপায়, সঠিক বার প্রণালী, পরিবেশগত জীবনধারায় সংশোধন এবং বৃহত্তর সমস্যাগুলি সমাধান করতে হবে। সমাজের উদ্দীপনা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তির ব্যবহার, সম্পাদনার সঠিক ব্যবস্থা সহায়ক হতে পারে এবং প্রভাবশীল মাটির উদ্ভিদ চাষাবাদের জন্য অনুমোদিত সার এবং প্রকৃতি সম্পর্কে সচেতনতা উন্নত করতে পারে।
Read More