পৃথিবীতে ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ একে অপরের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বর্তমানে অনলাইনে প্রায় সবকিছু হয়। যার ফলে আমাদের জীবন যাত্রার মান অনেকটা উন্নত হয়ে গেছে। আমাদের এখন আর আগের মত কোন জিনিসের জন্য এতটা ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। সবকিছুই এখন প্রায় আমাদের হাতের নাগালে হয়ে গেছে।
পূর্বে বিভিন্ন ধরনের লোন নেওয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন এনজিও অথবা ব্যাংকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। এমনকি অনেকে আবার চরা সুদে টাকা লোন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। পূর্বে সাধারণত সুদের ব্যবসা সচল ছিল। কিন্তু আস্তে আস্তেব্যাংক ও এনজিওহওয়ার কারণেবর্তমানে লোন ব্যবস্থাকিছুটা শিথিল হয়েছে। আমাদের আজকের এই পোস্টে আমরাজানাবো আধুনিক এই যুগে কিভাবে অনলাইনে মোবাইল লোন পাওয়া যায়।
মোবাইল লোন
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মোবাইল লোন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেননা প্রতিনিয়ত বিশ্ববাজারে নতুন নতুন ফোনের আগমন ঘটছে। যার ফলে মানুষ এগুলো কেনার প্রতি আগ্রহ হয়ে উঠে। কিন্তু সব সময় নগদ অর্থ প্রদান করে এ সকল ফোন ক্রয় করা সবার পক্ষে সম্ভব না। অনেকে স্বল্প আয়ে চাকরি করে থাকে আবার অনেকে ছোটখাট ব্যবসা করে থাকে, অনেকেই আবার টিউশন করে ফোন কেনার ইচ্ছা পোষণ করে।
যার কারণে লোন ব্যতীত ফোন কিনা তাদের সম্ভব হয় না। এই সকল কারন বিবেচনা করে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন এনজিও ও শোরুম সহজ কিস্তিতে মোবাইল লোনের ব্যবস্থা করেছে। আপনাদের যাদের বয়স ২১ বছরের উপরে তারা অতি সহজেই এই লোন নিতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ নিতে চান তাহলে কিভাবে আপনি নিবেন তা নিচে থেকে বিস্তারিত জেনে নেন।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ
আপনারা যারা অনলাইন মোবাইল লোন নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। আপনি যদি অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু শর্ত অবলম্বন করতে হবে। অনলাইনে মোবাইল লোন বাংলাদেশের জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে এবং আপনার কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন সমস্ত কিছু আমরা আজকের এই পোস্টে তুলে ধরবো। তবে মনে রাখবেন শর্তগুলো আপনাকে অবশ্যই পালন করতে হবে।
অনলাইন মোবাইল লোন বাংলাদেশ এর জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার পরিচয় পত্র দিতে হবে। এখানে আপনি সরাসরি শো রুমে গিয়ে মোবাইল কিনার সময় সেখান থেকে মোবাইল লোন নিতে পারেন। অথবা কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আপনি মোবাইল লোন নিতে পারেন। আপনি শোরুম অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন তার নিচের অংশ তুলে ধরা হলো।
অনলাইন মোবাইল লোন নিতে আপনার যেসব কাগজপত্রের প্রয়োজন
অনলাইনে যে সকল লোন পাওয়া যায় তার মধ্যে মোবাইল লোন পাওয়া সবচেয়ে সহজ। মোবাইল লোন অতি সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার জন্য কিছু শর্ত জোরে দেওয়া হবে। নিচে থেকে শর্তগুলো দেখে নিন।
১। আপনি যে লোন নিবেন সেই লোনের আবেদনপত্র পূর্ণ করা ও তাতে স্বাক্ষর করা দরকার। এছাড়াও এখানে ইলেকট্রনিক সিগনেচার অনলাইনে দাখিল করা হয়।
২। ভোটার আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স/পাসপোর্ট।
৩। আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
৪। আপনার কর্মস্থলের নাম অথবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম ঠিকানা সহ দিতে হবে।
৫। আপনার বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৬। আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকলে একাউন্টের বিবরণ দিতে।
অনলাইন মোবাইল লোনের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন
- প্রথমে প্লে স্টোর থেকে ইনস্ট্যান্ট লোন অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- এরপর আপনার মোবাইল লোন নম্বর আর এরিয়া পিন কোড এন্টার করুন।
- আপনার ব্যক্তিগত,বৃত্তিগত এবং আর্থিক বিবরণ দিন।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড নম্বর/ পাসপোর্ট নাম্বার এন্টার করুন।
- আপনি কোন কাজ করেন সেই পেশা এবং কোম্পানির ঠিকানা এন্টার করুন।
- আপনার মোবাইল লোনের পরিমাণ লোন ইএমআই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে নিজের মনের মত করে নিন।
বিকাশ থেকে মোবাইল লোন
- প্রথমে আপনাকে আপনার বিকাশ এ্যাপ এ গিয়ে দেখতে হবে লোন বাটন অথবা লোন আইকন আছে কিনা।
- এরপর, আপনি একটি E-KYC From দেখতে পাবেন এবং আপনাকে সেই ফরম ফিলাপ করতে হবে।
- ফরমটি আপনার সব ইনফরমেশন দিয়ে এরপর আপনার সাহায্যে ফরমটি সিটি ব্যাংকের কাছে সাবমিট দিতে হবে।
- ফরমটি সাবমিট হওয়ার পর আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য না হন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
- লোনের টাকা সাথে সাথে আপনি একটা পিন নম্বর পাবেন সেই পিন নম্বরটি আপনি টাকা উঠাতে পারবেন।
অনলাইন মোবাইল লোন নেয়ার বয়সসীমা
আপনি যদি অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে চান তাহলে আপনার বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৬০ বছর ধরা হয়। তবে ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নিতে চাইলে আপনাকে সরকারি চাকরিজীব হতে হবে।
Read More