প্রচুর তেলসমৃদ্ধ রাষ্ট্র হচ্ছে কুয়েত। কুয়েত একটি রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম কুয়েত সিটি। এটা সবাই জানে কুয়েতে টাকার মান সবচেয়ে বেশি। যে সকল দেশ অতি দ্রুত উন্নতি লাভ করেছে তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। আমাদের দেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে প্রতিবছর অনেকেই কুয়েত গিয়ে থাকে। কুয়েত যাওয়ার পূর্বে জেনে রাখা ভালো কুয়েতে কোন কাজের চাহিদা বেশি ও বেতন বেশি। কেননা প্রতিটা মানুষ বিদেশে পাড়ি জমায় টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে।
তাই কাজের ধরন ও বেতন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। এর এই পোস্টে আমি কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি, কোন কাজের বেতন বেশি, কিভাবে আপনি খুব সহজেই কুয়েতের ভিসা পেতে পারেন, কম খরচে কুয়েত যাওয়ার উপায় বিস্তারিত তুলে ধরব। তাই যারা কুয়েতে যেতে মনস্থির করেছেন তারা সম্পূর্ণ পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি
পৃথিবীতে অনেক দেশ রয়েছে যারা তাদের দেশের কাজ করানোর জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। তার মধ্যে কুয়েত অন্যতম। কুয়েত তাদের দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জনশক্তি নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমাদের দেশ থেকেও প্রতিবছর অসংখ্য জনবল তারা নিয়ে থাকে। আজকে আমি তুলে ধরবো কোন কোন কাজের জন্য তারা বেশি শ্রমিক নিয়োগ দেয় এবং কোন কাজের চাহিদা বেশি।
১। ইলেকট্রিক কাজ।
২। কনস্ট্রাকশন।
৩। রেস্টুরেন্ট।
৪। রাজমিস্ত্রি।
৫। ক্লিনার।
৬। প্লাম্বিং।
৭। ড্রাইভিং।
৮। ফ্যাক্টরি।
৯। ওয়েল্ডিং।
১০। সপকিপার।
কুয়েতে এ সকল কাজের মধ্যে ওয়েল্ডিং, রাজমিস্ত্রি, কনস্ট্রাকশন, ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রাইভিং এই সকল কাজ এর জন্য সবচেয়ে বেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনার যদি এ সকল কাজের দক্ষতা ভালো থাকে তাহলে আপনি অতি সহজেই কুয়েতের ভিসা পেয়ে যাবেন। তাই কুয়েতের ভিসা আবেদন করার পূর্বে কোন একটি নির্দিষ্ট কাজের দক্ষতা অর্জন করুন। তাছাড়া কাজের দক্ষতা থাকলে আপনার ভিসা পেতে সহজ হবে এবং বেতন বেশি হবে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন বেশি
কুয়েত ওয়েল্ডিং, ইলেকট্রিশিয়ান, রেস্টুরেন্ট, রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বিং ও ড্রাইভিং কাজের বেতন বেশি। আপনার যদি এ সকল কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনার বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি হবে। এ সকাল কাজের জন্য কুয়েত অনেক বেতন দিয়ে থাকে। এই সকল কাজের জন্য কুয়েত তাদের দেশের ১৫০ থেকে ৩৫০ দিনার দিয়ে থাকে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা। এখানে বেতনের পরিমাণ কাজের দক্ষতার উপর বেশি নির্ভর করে।
এছাড়াও রয়েছে ওভারটাইমের সুযোগ। আপনি যে কোম্পানির কাজ করবেন সেখানে আপনার ডিউটি থাকবে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা। আপনি যদি প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে ওভারটাইম করেন তাহলে আপনার বেতন আরো বেশি পড়বে। ২ ঘন্টা ওভারটাইম বেশি করলে আপনি এক্সট্রা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবে।
কুয়েত কোন কাজের বেতন কত
কুয়েত ইলেকট্রিক কাজের বেতন সাধারণত ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। তবে যদি আপনার দক্ষতা ভালো থাকে তাহলে ৯০ হাজার টাকা অনায়াসে কামাতে পারবেন। ওয়েল্ডিং, রাজমিস্ত্রি, প্লাম্বিং ও ড্রাইভিং কাজের বেতন ৫০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। যদি এই সকল কাজের দক্ষতা দেখিয়ে ফোরমেন হতে পারেন তাহলে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ টাকার উপরে। তবে এ সকল কাজে ওভারটাইম করে বেশি টাকা উপার্জন করা যায়।
এছাড়াও কনস্ট্রাকশন, রেস্টুরেন্ট, ফ্যাক্টরি কাজের বেতন ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে এগুলোর মধ্যে রয়েছে ওভার টাইম করার সুবর্ণ সুযোগ। এখানে আপনি ওভারটাইম করে এক্সট্রা ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন কত
আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে কুয়েত যেতে চান তবে জেনে রাখা ভালো কুয়েতে কাজের বেতন কত। তবে মনে রাখবেন কুয়েতে কাজের বেতন সর্বনিম্ন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যন্ত হয়। এই নিয়ম প্রতিটি দেশেই রয়েছে। কুয়েতে সর্বনিম্ন বেতন ৪০ হাজার টাকা। তবে যদি আপনি ওভার টাইম করেন তাহলে আপনার বেতন আরো বেশি হবে।
কুয়েতে সর্বোচ্চ বেতন কত
কুয়েতে সর্বোচ্চ কাজের ভিসার বেতন ৯০ হাজার টাকা। তবে ওভারটাইম করে আপনি ১ লক্ষ টাকার উপরে উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনার দক্ষতা যদি ভাল থাকে এবং তাদের দেশের মানুষকে বোঝাতে পারেন যে আপনি কাজ ভালো পারেন তাহলে আপনার বেতন হবে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকা। তাই কুয়েত গিয়ে আপনার প্রথম কাজ হবে তাদেরকে ইমপ্রেস করা। যাতে তারা আপনার বেতন বাড়ায়।
কুয়েত কাজের বেতন কত
কুয়েত কাজের বেতন নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর এবং আপনি কোন কাজ করেন তার ওপর। ধরেন যদি আপনি ওয়েল্ডিং এর কাজ ভালো পারেন তাহলে আপনার বেতন অনেক বেশি হবে। আবার যদি আপনি ক্লিনার কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন অনেক কম হবে। আশা করি বুঝতে পারছেন বেতনের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। তবে কুয়েত কাজের বেতন ৪০ হাজার থেকে শুরু করে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
Read More