লন্ডনের ভিসার দাম কত – লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

একজন মানুষ তার ও তার পরিবারের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার জন্য বিদেশ পাড়ি জমায়। তার কারণ দেশের অল্প বেতনে চাকরী করে অথবা কাজ করে তার পরিবার সচ্চলভাবে না চলার কারণে সে বিদেশ গিয়ে থাকে। আর বিদেশের কথা উঠলে মানুষের মনে প্রশ্ন আসে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব,  দুবাই,  কাতার এ সকল দেশের কথা। তবে শিক্ষিত সমাজের মাঝে লন্ডন নাম অতি পরিচিত। শিক্ষিত সমাজের বেশিরভাগ মানুষ চায় একবার হলেও লন্ডন যেতে।

কেননা এখানকার সৌন্দর্য ও জীবনের বিলাসিতা দেখে যে কেউ লন্ডন আসতে চাইবে। এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা অন্যরকম। তাছাড়া এই সকল দেশে কাজের বেতন অনেক হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে মানুষ লন্ডনের নাম শুনলে তার মনে এক অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। তার মনে হয় যদি আমি লন্ডন যেতে পারতাম। আজকের এই পোস্টে আমি লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ও লন্ডন ভিসা নিয়ে আলোচনা করব। চলুন এবার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জাক।

লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি লন্ডন কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। বর্ধমানের লন্ডন পৃথিবীর সকল দেশের মানুষের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু করেছে। আপনি চাইলে বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লন্ডন যেতে পারবেন। তবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লন্ডন যাওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লন্ডন যাওয়ার প্রথম শর্ত ভাষা। আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।

তাছাড়া ইংরেজি ভাষা ব্যতীত আপনাকে সর্বনিম্ন এইচএসসি পাশ হতে হবে। তাছাড়া আপনি ভিসা পাবেন না। কেননা লন্ডন যে সকল কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে তাতে ভাষা জানা জরুরী। কেননা ভাষা না বুঝলে আপনি সেখানে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। এছাড়াও আপনাকে IELTS SCORE এর সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। যদি আপনার IELTS SCORE ৬.০০ এর উপরে হয় আপনি তাহলে অতি সহজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন।

আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে আপনার খরচ হবে প্রায় $4০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় 4 লক্ষ টাকা। আর সব মিলিয়ে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। হবে এত টাকা খরচ হলেও আপনার বেতন হবে অনেক। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেলে আপনার সেখানে বেতন হবে বাংলাদেশি টাকায় ২ লক্ষ টাকা। তবে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হওয়া। কেননা পুরো লন্ডন ইংরেজি ভাষার রাজত্ব চলে। 

লন্ডনের ভিসার দাম কত

লন্ডনের ভিসার দাম নির্ভর করে আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসা লন্ডন যাবেন। লন্ডন যেতে সবচেয়ে কম খরচ পড়ে ভিজিট ভিসা তে। ভিজিট ভিসা বের করতে আপনার খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা। তারপর কম খরচ পড়ে স্টুডেন্ট ভিসা বের করতে। স্টুডেন্ট ভিসা বের করতে আপনার খরচ পরে ১২ হাজার টাকার মতো। তবে সেখানে যেতে বিমান ভাড়া থেকে শুরু করে অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়।

লন্ডনের সবচেয়ে দামি ভিসা হল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা। এই ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন। কেননা লন্ডন দক্ষ কারিগর ছাড়া ভিসা প্রদান করেনা। আর লন্ডন আপনাকে ভিসা প্রদান করার পূর্বে আপনার টেস্ট করে নিবেন। যদি আপনি তাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তারপর আপনাকে তারা ভিসা প্রদান করবে। লন্ডন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে খরচ হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। শুধু ভিসা বের করতে এত খরচ হয়ে থাকে।

লন্ডন যেতে কত টাকা লাগে

লন্ডন যেতে টাকার পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার ভিসার উপর। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তে লন্ডন থেকে আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। তবে একজন দক্ষ ব্যক্তি হলে আপনি সেখানে ভিসা পাবেন। তাছাড়া পাবেন না। আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসায় সেখানে যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। আর যদি আপনি ভিজিট ভিসায় যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে ২ লক্ষ টাকা।

লন্ডন ভিসা প্রসেসিং

লন্ডন ভিসা প্রসেসিং করার পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। যেমন আপনার ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে হবে। IELTS SCORE ৬.০০ এর উপর হতে হবে। তাছাড়া আপনাকে অবশ্যই সর্বনিম্ন সার্টিফিকেট এইচএসসি থাকতে হবে। এইচএসসিতে আপনার পয়েন্ট ৪ পয়েন্ট এর উপরে হতে হবে। এই সকল জিনিস যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার ভিসা পেতে সহজ হবে।

এইসব কিছু থাকলে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ভিসা আবেদন করার পর তারা আপনার পরীক্ষা নিবে। যদি আপনি সেখানে পাস করেন তারপর আপনার ভিসা প্রসেসিং তারা নিজেই করে দিবে। যদি আপনার ভিসা আবেদন করতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনি দালালের সম্মুখীন হতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার কিছু খরচ বেশি পড়বে।

লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা

আপনি চাইলে পড়াশোনার জন্য লন্ডন যেতে পারেন। কেননা সেখানে রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বের সবচেয়ে নামিদামি বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার বের হয়। আপনার যদি ভালো পড়াশোনার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি কি স্টুডেন্ট ভিসা তে লন্ডন যেতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসা তে লন্ডন থেকে আপনার খরচ পড়বে 2 লক্ষ টাকার মতো। তবে এখানে আপনার এইচএসসি এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে এবং IELTS SCORE ৬.০০ এর উপরে থাকতে হবে।

লন্ডন যাওয়ার উপায়

লন্ডন যাওয়ার প্রথম শর্ত IELTS SCORE ৬.০০ এর উপরে থাকতে হবে। এরপর আপনাকে মুক্তভাবে ইংরেজি ভাষা বলতে হবে। আপনার এইচএসসি এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এই সকল জিনিস থাকলে আপনি বাংলাদেশ থেকে অতি সহজে লন্ডন যেতে পারবেন। তাছাড়া আপনি অন্য দেশের হয়েও লন্ডন যাওয়ার জন্য ভিসা আবেদন করতে পারবেন। যেমন আপনি চাইলে ভারত থেকে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

লন্ডন রেস্টুরেন্ট ভিসা

রেস্টুরেন্টে কাজের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে লন্ডন রেস্টুরেন্ট ভিসা তে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি চাইলে রেস্টুরেন্ট ভিসাতে লন্ডন যেতে পারেন। এখানেও আপনার ইংরেজি ভাষা জানা থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষা জানা না থাকলে আপনি রেস্টুরেন্ট ভিসা পাবেন না। আর লন্ডন রেষ্টুরেন্ট ভিসাতে যেতে আপনার খরচ পড়বে ৫ লক্ষ টাকার মতো।

লন্ডনের ভিসার খবর

বর্তমানে লন্ডন সরকার তার দেশে বিভিন্ন কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। তবে শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার পূর্বে তারা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। তাদের দেয়া প্রথম শর্ত ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষ হতে হবে। তাদের দেয়া দ্বিতীয় শর্ত IELTS কোর্সের সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এখানে অবশ্যই আপনার IELTS SCORE ৬.০০ এর উপরে থাকতে হবে। তাছাড়া আপনার এইচএসসি এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এসকল জিনিস যদি আপনার পরিপূর্ণভাবে থাকে তাহলে আপনি লন্ডন ভিসা পাবেন।

তাছাড়া সেদেশের সরকার আরো বলেছে বিভিন্ন সেক্টরে তারা আরো জনবল নিয়োগ দিবে। তবে সে সকল জনগণকে দক্ষ হতে হবে। কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। লন্ডন সরকার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক তাদের দেশে নিয়োগ দিবে। তবে এই পরিসংখ্যানটা শুধু বাংলাদেশের জন্য।

Read More

Hosting Partner