বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে, বেতন কত ও ভিসা খরচ

সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম বেলজিয়াম। আরেক মানুষের স্বপ্ন থাকে বেলজিয়ামে পাড়ি জমাতে। বেলজিয়াম শহর এতটাই সুন্দর মানুষের মনকে অল্প সময়ের মধ্যে আকৃষ্ট করে। তাছাড়া বেলজিয়ামের মানুষগুলো অত্যন্ত শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তি। তারা অত্যন্ত সহজ সরল হয়ে থাকে। বেলজিয়াম সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের দেশে জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাই আপনি চাইলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেলজিয়াম যেতে পারবেন। বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যাওয়ার পুর্বে আপনার কিছু জিনিস সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরী।

যেমন বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে, বেলজিয়াম ভিসা খরচ কত, বেলজিয়াম কাজের বেতন কত, বেলজিয়াম ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ আরো অনেক কিছু। আর বিদেশ যাওয়ার পূর্বে প্রতিটা মানুষের ওই দেশ পরিবেশসম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরী। আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের বেলজিয়াম দেশ সম্পর্কে সব কিছু জানাবো। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বেলজিয়ামের ভিসা খরচ কত, বেতন কত, যেতে কত টাকা লাগে আরো অনেক কিছু।

বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে

এশিয়া মহাদেশ থেকে প্রায় ৩০০০ শ্রমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বেলজিয়াম। আর পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দিবে বেলজিয়াম। তাই যদি আপনি বেলজিয়াম যেতে চান তাহলে ভিসা আবেদন করে নিতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বেলজিয়াম যাওয়া যায় না। কেননা বাংলাদেশকে বেলজিয়ামের কোন এম্বাসি নেই। আপনি যেতে চাইলে ভারতের দিল্লি থেকে বেলজিয়াম পারবেন।

এর জন্য আপনাকে ভালো দালালের শরণাপন্ন হতে হবে। তাদের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করলে তারা ভারতের দিল্লি থেকে আবেদন করে আপনাকে বেলজিয়াম পাঠাতে পারবে। কেননা বাংলাদেশে অনেক সরকারি ও বেসরকারি এম্বাসি রয়েছে যাদের সাথে অনেক দেশের হাত রয়েছে। আপনি যদি তাদের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করেন তাহলে আপনার ৮ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ হবে বেলজিয়ামে যেতে

বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনি যদি বেলজিয়াম ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে চান তাহলে এখনি আবেদন করে ফেলুন। বেলজিয়াম সরকার রেস্টুরেন্ট, হোটেল, ড্রাইভিং, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষিকাজ, ফ্যাক্টরি এসকল ভিসায় শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। তাই আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে চান সে ক্ষেত্রে ভালো দালালের মাধ্যমে আবেদন করে নিন। বাংলাদেশে এম্বাসি না থাকায় বেলজিয়াম ভিসা পাওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতের দিল্লি এম্বাসি থেকে ভিসা বের করে বেলজিয়াম যাচ্ছে।

বাংলাদেশের অনেক জায়গায় রয়েছে যারা ভারতের মাধ্যমে বেলজিয়াম কাজের ভিসা দিয়ে থাকে। যদিও বা এক্ষেত্রে একটু খরচ বেশি হয় তবুও যাওয়া ভালো। কেননা বেলজিয়াম কাজের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। তাই আপনার খরচ একটু বেশি হলেও অতি দ্রুত আপনার টাকা আপনার ঘরে আসে। বেলজিয়াম কাজের বেতন ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়। তবে সবচেয়ে বেতন বেশি রেস্টুরেন্ট, ড্রাইভিং ও ফ্যাক্টরি ভিসা।

বেলজিয়াম বেতন কত

বেলজিয়াম বেতন নির্ভর করে আপনার কাজের ওপর। আপনি যদি নির্মাণশ্রমিক ভিসায় বেলজিয়াম যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। যদি আপনি রেস্টুরেন্ট ভিসায় বেলজিয়াম যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। আর যদি আপনি ফ্যাক্টরি ভিসা ও ড্রাইভিং ভিসা তে বেলজিয়াম যেতে চান তাহলে আপনার বেতন হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা। সুযোগ-সুবিধা রয়েছে অনেক। প্রতি ৬ মাস অন্তর আপনার বেতন বাড়বে।

বেলজিয়াম ভিসার দাম কত

বেলজিয়াম ভিসার দাম মাত্র $৮৫০ ডলার। ভিসার দাম খুব একটা বেশি না। তবে দালালের মাধ্যমে যেতে হয় যার কারণে খরচের পরিমাণ বেশি হয়। তাছাড়া বাংলাদেশি কোন এমব্যাসি না থাকায় দালালরা আরো টাকা খাওয়ার সুযোগ পায়। যেহেতু বাংলাদেশের কোন এমব্যাসি নেই। ইন্ডিয়া থেকে ভিসা আবেদন করতে হয় যার কারণে খরচের পরিমাণ একটু বেশি হয়ে যায়।

বেলজিয়াম কোন কাজের চাহিদা বেশি

বেলজিয়াম নির্মাণ শ্রমিক, ফ্যাক্টরি ও রেস্টুরেন্ট কাজের চাহিদা বেশি। আর বেলজিয়ামের সকল কাজের বেতন অনেক ভালো হয়ে থাকে। তাছাড়া ড্রাইভিং এর অনেক চাহিদা রয়েছে। কেননা আপনি যদি ফ্যাক্টরিতে কাজের উদ্দেশ্যে যান আর আপনার যদি ড্রাইভিং জানা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হবে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

বেলজিয়াম ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  •  একটি ২ বছর মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট।
  • ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
  • করোনার টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট।

উপরে দেয়া জিনিস গুলো ভিসা আবেদনের জন্য অবশ্যই আপনার প্রয়োজন হবে। তাই ভিসা আবেদনের সময় উপরের দেয়া তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন ভিসা আবেদন করতে যাবেন।

বেলজিয়াম যাওয়ার উপায়

বেলজিয়াম যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ইন্ডিয়া থেকে যাওয়া। ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে ভিসা আবেদন করলে আপনি ৩ মাসের মধ্যে বেলজিয়াম যেতে পারবেন। বাংলাদেশের কোন এম্বাসি না থাকায় আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি এমপিরা ইন্ডিয়া থেকে ভিসা আবেদন করে দেয়। আর ইন্ডিয়ায় বেলজিয়ামের এম্বাসির রয়েছে। আর বেলজিয়াম সরকার ইন্ডিয়া থেকে অনেক শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে প্রতিবছর।

তাই আপনি যদি বেলজিয়াম যেতে চান তাহলে ইন্ডিয়া থেকে খুব সহজে যেতে পারবেন। যদিওবা খরচের পরিমাণ একটু বেশি তবুও বেতন ভালো থাকায় তা অতি দ্রুত উঠে যায়। সুতরাং আপনার যদি বেলজিয়াম দেওয়ার সামর্থ্য থাকে তাহলে ইন্ডিয়ার দিল্লি এম্বাসি থেকে ভিসা আবেদন করে নিন। আশাকরি তিন মাসের মধ্যে আপনার ভিসা এসে যাবে।

বেলজিয়াম ওয়ার্ক ভিসা

ইন্ডিয়ার দিল্লি থেকে ওয়ার্ক ভিসা তে আপনি বেলজিয়াম খুব সহজে যেতে পারবেন। যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে ভিসা আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনার খরচ হবে ৮ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা বেলজিয়াম যেতে। এই খরচটা সাধারণ তো সবকিছু মিলিয়ে ধরা হয়েছে। যদি আপনি শুধু ভিসা খরচ ধরেন তাহলে আপনার ভিসা খরচ পড়বে ৮৫ হাজার টাকা। বুঝতেই পারছেন ভিসা খরচ খুব একটা বেশি না। তবে প্রাসঙ্গিক খরচ বেশি হয়ে থাকে।

Read More 

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে – পর্তুগাল ভিসা খরচ

সৌদি আরব কোম্পানি ভিসা 2023

সৌদি আরবের কোম্পানির নাম – কোম্পানির কাজের ধরন

সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি – বেতন বেশি দেয়া কোম্পানির নাম

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা 2023 – ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন স্কেল

Hosting Partner